পথে প্রান্তরে ডেস্ক: ব্যস্তময় কর্মজীবনে আমাদের প্রায়ই দীর্ঘ সময় মিটিং করতে হয়। তখন দেখা যায় দুপুরের খাবারের সময় পেরিয়ে গেলেও ঠিক মতো খাওয়া হয়নি। তখন অনেককে সামান্য বিষয় নিয়ে বাজে আচরণ করতেও দেখা যায়। যদিও খিদা মানুষের একটি সহজাত প্রবৃত্তি। কিন্তু খিদা লাগলে কেন এমনটা হয়? চলুন জেনে নেয়া যাক শরীর আমাদের সঙ্গে কেন এমনটা হয়।
ক্ষুধার্ত অবস্থায় আমাদের মধ্যে ক্লান্তি, বিভ্রান্তি বা রাগের মতো আবেগগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। আর এসব কিছুর জন্য দায়ী হলো চিনি–বিশেষত গ্লুকোজ–যা আমাদের রক্তে সঞ্চালিত হয়। যখন এর মাত্রা কমে যায়, তখন আমাদের শরীর তা পুনরুদ্ধারে ধারাবাহিক কিছু প্রতিক্রিয়া দেখায়।
তবে গ্লুকোজ আসলে কী ভূমিকা পালন করে? কেন এটা এতটা গুরুত্বপূর্ণ?
বিজ্ঞান বলছে, এই ধরনের চিনি আমাদের অঙ্গ তৈরি করা কোষের শক্তির প্রধান উৎস। এর ওপর মস্তিষ্ক প্রায় একচেটিয়াভাবে নির্ভর করে। এটা ছাড়া মস্তিষ্ক তৈরি করা ১০০ বিলিয়ন স্নায়ু কোষ নিজেদের কাজ ভালোভাবে করতে পারবে না।
দুর্বল ও খিটখিটে বোধ করা, মাথা ঘোরা এবং মনোযোগে অসুবিধার মতো বিষয়গুলো দিয়ে বোঝা যায় যে মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্লুকোজ পাচ্ছে না। আর এই মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে অর্থাৎ খুব দীর্ঘ সময়ের জন্য চিনি সরবরাহে ঘাটতি হলে মানুষ কোমাতেও চলে যেতে পারে।