বিনোদন ডেস্ক: এক সময় ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক হিসেবে ব্যস্ততা ছিল বাপ্পারাজের। অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছিলেন তিনি। আশি দশকের মাঝামাঝির দিকে নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকমহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিন দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে বাপ্পারাজ অভিনয় করেন শতাধিক চলচ্চিত্রে। বর্তমানে ক্যামেরা থেকে অনেকটাই দুরে এই অভিনেতা। এফডিসিতেও তেমন দেখা যায় না তাকে।
মাঝে মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের মতামত প্রকাশ করেন। সিনেমা নিয়ে ভাবনার কথাও জানান। সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন এ অভিনেতা। যেখানে উল্লেখ করেন, ‘কতদিন ফুলের তোড়া হাতে গ্রুপ ছবি তোলার দৃশ্য দেখা হয় না।
তবে কাদেরকে উদ্দেশ্য করে এমন পোস্ট দিয়েছেন তা উল্লেখ করেননি। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাপ্পারাজ বলেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রি থেকে ভালো লোকজন সরে গেছে, বাজে লোক বেশি হয়ে গেছে। তারা সিনেমা বানাতে চায় না, পলিটিক্স করে, দলাদলি করে, সরকারের চামচামি করে। মাঝে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি এ রকম হয়ে গিয়েছিল। আমাদের জোর করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত।
তিনি আরও বলেন, সে সময় আমাদের বলত, ওইখানে যেতে হবে, সেখানে যেতে হবে। যেমন, কোনো মন্ত্রী বা পুলিশ অফিসারকে শিল্পী সমিতিতে নিয়ে এসে ফুল দিয়ে তার সঙ্গে ছবি তোলা হতো। সেই ছবি আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করতে বলা হতো। আমরা শিল্পী, আমাদের সঙ্গে মানুষ ছবি তুলবে। আমরা তো কারও পেছনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলব না। আমাদের এখানে এ ট্রেন্ড কিন্তু মাঝখানে চালু হয়ে গিয়েছিল। এটা তোষামোদি। কাজের থেকে তোষামোদিই এখানে বেশি করা হয়।
চলচ্চিত্রের সংকটের প্রসঙ্গে বাপ্পারাজ বলেন, আমাদের সমস্যা হচ্ছে, আমাদের সিনেমা বানানোর লোক দরকার। এখানে ধান্দাবাজ লোক বেশি হয়ে গেছে। এখনো কিছু লোক আছে, তারা কোণঠাসা হয়ে আছে। দলাদলির জন্য অনেকেই অনেক জায়গায় যেতে পারছে না, দাঁড়াতে পারছে না, কথা বলতে পারছে না। কাজের লোক কমে গেছে, এজন্যই এফডিসিতে রাজনীতি চলত।
প্রসঙ্গত, নায়ক রাজ রাজ্জাক বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের একজন কিংদবদন্তি অভিনেতা ছিলেন। তার ছেলে বাপ্পারাজ। ১৯৮৬ সালে রাজ্জাকের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন বাপ্পারাজ। ‘চাঁপাডাঙ্গার বউ’ সিনেমার পরিচালক ছিলেন রাজ্জাক। এ সিনেমাটি দিয়েই বড়পর্দায় অভিষেক হয় বাপ্পারাজের।