প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন,নতুন কারিকুলাম চালু করেছি। আমরা তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা উঠিয়ে দিয়েছি। পাশাপাশি আমরা শিক্ষকদের মান বৃদ্ধিতেও যথেষ্ট সচেতন। এছাড়া যে সমস্ত ভবন অকেজো রয়েছে সেগুলো সুন্দরভাবে নতুন করে নির্মাণ করার পরিকল্পনা করেছি। আমরা শিশুদের আনন্দঘন পরিবেশে লেখাপড়া করাতে চাই। আমরা চাই বাচ্চারা হাসিখুশির মধ্য দিয়ে লেখাপড়া করবে। এ জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তেঁতুলিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন যে করোনার কারণে আমরা স্কুলগুলো বন্ধ রেখেছিলাম। এ সময় কিছু মাদরাসা স্কুলগুলোর কাছাকাছি পর্যায়ে চলে এসেছে। আমাদের এলাকায় সবাই কর্মব্যস্ত মানুষ। তারা বাচ্চাকাচ্চা রেখে কর্মে চলে যায়। এ কারণে শিক্ষার্থীরা মাদরাসায় গিয়েছে। এছাড়া মাদরাসায় দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। স্কুলগুলোতে যে মিড-ডে মিল চালু ছিল তাও বন্ধ রাখা হয়েছিল নানা কারণে। আবার মিড-ডে মিল চালু হচ্ছে। তাতে কিছুটা উপকার হবে। পাশাপাশি স্কুলগুলোতে কীভাবে বাচ্চাদের ফিরিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে আমরা নতুনভাবে পরিকল্পনা করছি।
বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু কর্নার ও শেখ রাসেল কর্নার, রিসোর্স সেন্টার ও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন এবং শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের পাঠদান প্রত্যক্ষ করেন। তিনি শিশু শিক্ষার্থীদের শিখন দক্ষতা যাচাই করতে কিছু প্রশ্ন করেন। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি ফটোসেশনে অংশ নেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মেধা, বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও শিক্ষকদের আন্তরিকতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় প্রাথমিক রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) কনক কুমার দাস, জেলা শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম মণ্ডল, তেঁতুলিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ চৌধুরী, রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মোখলেসু রহমান, তেঁতুলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী মণ্ডল, তেঁতুলিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মতিউর রহমানসহ শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।