Search
Close this search box.

কেউ খারাপ ব্যবহার করলে কী করতে হবে

পথে প্রান্তরে ডেস্ক: ব্যক্তিগত, পেশাদার সম্পর্ক বা জনসাধারণের মধ্যে কখনো কোনো কারণে খাবাপ ব্যবহারের শিকার হওয়ার মতো অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই রয়েছে। অনেক সময় বিষয়গুলো খুবই স্বাভাবিকভাবে নিয়ে থাকি আমরা। আবার কখনো কখনো বিষয়গুলো ছোট আকারে শুরু হলেও একপর্যায়ে জটিল আকার ধারণ করে।

সমস্যাগুলো মূলত শান্তভাবে মোকাবিলা করা উচিত। কারণ, সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে বিপরীত মানুষগুলোর প্রতিক্রিয়া উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলে আমাদের জীবনে। সাধারণত, কেউ আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে পাল্টা আমরা প্রতিক্রিয়া দেখাই। যা সমস্যা সমাধানের বিপরীতে পরিস্থিতি আরও খারাপ করে। এ ক্ষেত্রে কিছু করণীয় রয়েছে। যা সমস্যা সমাধান এবং সম্পর্ক মসৃণ করতে পারে। এমনই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। এবার তাহলে সেসব করণীয় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

অসম্মতি হওয়া: অনেক সময় বিরোধীর সঙ্গে মতের মিল না হলে তার প্রস্তাবে অসম্মতি জানান। তারপর দু’জনের মতামত নিয়ে আলোচনা করুন। এতে প্রতিক্রিয়ায় খারাপ ব্যবহার বা বাজে কিছুর পরিবর্তে বিকল্প মতামত ভালো হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দলগতভাবে বসে সবার মতামত নিয়ে সহজেই সমস্যা সমাধান করা যায়।

অন্তর্নিহিত সমস্যা নিয়ে আলোচনা: বিপরীত মানুষটির কাছে জানতে চান, অন্যান্য কোনো অভিযোগ বা আরও কিছু বলার আছে কিনা। কেননা, খারাপ ব্যবহার সমস্যা ভিন্নদিকে ধাবিত করে। যখন কাউকে বলবেন তার আরও কোনো অভিযোগ রয়েছে কিনা, তখন ওই মানুষটির আপনাকে নিয়ে ভাবনা বদলে যাবে। আর তিনি কোনো অভিযোগ থাকলে বা কিছু বললে দু’জনের গঠনমূলক আলোচনায় সমস্যাও অল্পতেই ঠিক হয়ে যাবে।

প্রত্যাশ্যা স্পষ্ট করা: কেউ খারাপ ব্যবহার করলে তার কাছ থেকে ঠিক কী আশা করছেন, সেটি নির্দিষ্ট করতে হবে। আর আপনি তার সঙ্গে সম্মানের সঙ্গে কথা বলবেন এবং তাকে ব্যবহারে এটা বুঝিয়ে দিন, আপনি সীমা নির্ধারণ করছেন। যা খারাপ ব্যবহার করতে নিরুৎসাহিত করবে। আপনি বিনয় ও সম্মানজনক কথোপকথনের প্রশংসা করুন এবং আপনি যে ক্ষতিকারক শব্দ ব্যবহার বা কাউকে ভাষার মাধ্যমে আঘাত করতে চান না, সেটিও জানান।

নতুন করে শুরু করা: কেউ খারাপ ব্যবহার করলে বিপরীতে আপনি তার সঙ্গে নতুন করে ভালো সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করুন। অথবা দু’জনই নতুন করে চেষ্টা করতে পারেন। পুনর্বিবেচনা থেকে দুই ব্যক্তির মধ্যে ইতিবাচক ও সম্মানজনক সম্পর্ক হতে পারে।

সমাধানের প্রস্তাব: সমস্যা হলে তা সমাধানের জন্য প্রস্তাব দেয়া যেতে পারে। সরাসরি বিপরীত মানুষটিকে বলুন, আমরা কি একসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে পারি। এতে একে অপরের সহযোগিতা পাবেন। পরিস্থিতিও জটিল হবে না।

শান্ত ও সংযত থাকা: শান্ত ও সংযত থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে কেউ আপনার সঙ্গে অপেশাদার আচরণ কিংবা খারাপ ব্যবহার করলে আপনার নীরবতা হতে পারে পরিস্থিতি বা সমস্যা সমাধানের মূল হাতিয়ার। আপনি সম্মানের সঙ্গে মানুষটিকে বলতে পারেন, আসুন আমরা দু’জনে আলোচনা করি। কেননা, শান্ত থাকা মাধ্যমে পেশাদারিত্ব বজায় থাকে এবং খারাপ ব্যবহারও নিরুৎসাহিত হয়। আর বিপরীত মানুষটিও একসময় বুঝতে পারবেন, তিনি ভুল করছেন। ফলে ইতিবাচক আলোচনায় সমাধান সহজ হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ