জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটে ভোলা মন্ডল হত্যা মামলার ২০ বছর পর ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।বৃহস্পতিবার ৯ নভেম্বর, দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র দায়রা জজ নূর ইসলাম এ রায় দেন।দন্ডপ্রাপ্তদের বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা এলাকায়। এদের মধ্যে একজন পলাতক রয়েছেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা (হাকিমপুর) গ্রামের নিভরসা ওরফে শুকটার ছেলে আব্দুল মান্নান, মৃত বিরাজের ছেলে ছানোয়ার হোসেন, ছানোয়ারের ভাই সাহাজ হোসেন, খয়বর আলীর ছেলে রমজান আলী, সামসুদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন, মৃত হাতেমের ছেলে দুলো, মৃত অফির উদ্দীনের ছেলে শাহজাহান, মৃত মজিবর রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলাম, মৃত বিরাজ উদ্দীনের ছেলে আনোয়ার, খয়বরের ছেলে আব্দুল ওহাব, মৃত হাতেম আলীর ছেলে আব্দুল খালেক, হরেন্দা গ্রামের মৃত বিরাজ উদ্দীনেরর ছেলে দেলোয়ার, রিয়াজ উদ্দীন ও আঃ খালেকের ছেলে আনিছুর। এদের মধ্যে আব্দুল মান্নান পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা হাকিমপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার মন্ডলের ছেলে ভোলা মন্ডল পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষের ব্যবসা করতেন। ২০০৩ সালে ৫ জুলাই ভোলা তার চালক মির শহিদকে নিয়ে মাঠে জমি চাষ করতে যান। সেদিন রাতেও আরও জমি চাষ করতে হবে বাসায় জানালে, তার অপর তিন ভাই খাবার নিয়ে মাঠে যান। এসময় সহকারিকে পাওয়ার টিলার চালাতে দিয়ে ভোলা খাবার খাওয়ার পর চার ভাই পাশের ভিটার উপর বিছানা বিছিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সে রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করেন। এসময় আসামীদের মারপিটে ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ভোলা গুরুতর আহত হয়। এরপর তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই দোলা মন্ডল বাদি হয়ে পরের দিন পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।