শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে সুমাইয়া আক্তার (১৫) নামে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ঘড়িষার ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমাইয়া বাড়ৈপাড়া গ্রামের ইমান হোসেন মোল্লার কন্যা এবং পন্ডিতসার শহিদ নজরুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা যায়, ঢাকা নারায়নগঞ্জের তালহা নামের একটি ছেলের সঙ্গে সুমাইয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলা নিয়ে মা ইসমতারা বেগমের সাথে শনিবার রাতে কথাকাটাকাটি হয় সুমাইয়ার। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সুমাইয়ার ব্যবহৃত ফোনটি ভেঙে ফেলেন মা ইসমতারা। রোববার সকালে সুমাইয়ার মা ইসমতারা বেগম স্থানীয় হাসপাতালে যান এবং ছোট দুই ভাই ও বোন স্কুলে যায়। এসময় সুমাইয়া একা ঘরে আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নেয়। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে মৃত স্কুল ছাত্রীর মা ইসমতারা বলেন, একটি ছেলের সাথে রং নাম্বারে পরিচয় হয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলো সুমাইয়া। রাত জেগে সেই ছেলের সাথে কথা বলতো সে। এ নিয়ে গতকাল রাতে কথা কাটাকাটি করে আমি ওর মোবাইল ভেঙে ফেলি। আজ সকালে আমি বড় মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে একা ঘরে গলায় ফাঁস দেয়।
নড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।