মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: কুকুর আতঙ্কে রয়েছেন মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার লাখো মানুষ। দিনদিন বাড়ছে শহরে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা। তেমনি বাড়ছে কুকুরের কামড়ে আহতের ঘটনাও।
জেলা সদর হাসপাতালের তথ্য মতে, গত ১ মাসে কুকুরে কামড়ে আহত হয়েছে ১ হাজার ৪০০ জন। আহতদের মধ্যে সিংহভাগই মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা। এ অবস্থায় মানিকগঞ্জে জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম আতঙ্ক। এর প্রতিকারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, পরিসংখ্যান মতে জেলায় কুকুর রয়েছে প্রায় ১ লাখ। এর মধ্যে পৌর এলাকায়ই রয়েছে ২০ হাজারের বেশি। বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা আরও বেশি। এর মধ্যে ৯৯ শতাংশই বেওয়ারিশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০১৫ সালে মানিকগঞ্জ জেলায় কুকুর ছিল ২৭ হাজার তিনশ’। মাক্স ডগ ভ্যাকসিন প্রকল্পের আওতায় জেলায় ওই বছরের অক্টোবরে ২২ হাজার ৭৭৭টি কুকুরকে দুই বছর মেয়াদি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এরপর থেকে বন্ধ রয়েছে ভ্যাকসিন কার্যক্রম। ২০১৪ সালে অভয়ারণ্য বাংলাদেশ এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কুকুর নিধন বন্ধে হাইকোর্টে একটি রিট আবদেন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ডিভিশন কুকুর নিধন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই বৃদ্ধি পাচ্ছে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা।
জেলা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুজিত কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে প্রতিদিনই অনেক কুকুরের কামড়ের রোগী আসে। তাদের ভ্যাকসিনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বজলুর রহমান জানান, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কুকুর নিধন করা যাচ্ছে না। তবে পৌর এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণের বিষয়ে ভ্যাকসিন দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।