নোয়াখালী প্রতিনিধি: চীন সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে তার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক, এ কথা বলে আলোচনায় আনেন জাহাঙ্গীর আলমকে। সেই জাহাঙ্গীর আলম এক মাস আগেই পাড়ি জমান আমেরিকায়।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাত ১১টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন তার ভাগিনা জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল মেয়র এবং জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান শিপন। দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন নাহার ও দুই সন্তানকে নিয়ে কোরবানির ঈদের একদিন পরই আমেরিকায় যান জাহাঙ্গীর আলম।
মাসুদুর রহমান শিপন জানান, তার মামার দুই ছেলে ঢাকার ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে। স্কুলের সেশন জুন টু জুন। তাই স্কুল বন্ধ থাকায় মামা তাদের নিয়ে আমেরিকায় বেড়াতে গেছেন। রোববার (১৪ জুলাই) আসার কথা ছিল। কিন্তু শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় আসতে পারেননি। তবে খুব শিগগিরই চলে আসবেন।
রোববার (১৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার বাসায় এক পিয়ন ছিল, সে ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। কি করে এত টাকা বানালো? যখন জানতে পেরেছি, তখন ব্যবস্থা নিয়েছি।
জাহাঙ্গীর প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত কর্মচারী হিসেবে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এবং তৃতীয় মেয়াদের কিছু সময়ও কাজ করেছিলেন। তবে তিনি কোনো সরকারি পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন না। কিন্তু নিজেকে জাহির করতেন প্রধানমন্ত্রীর এপিএস হিসেবে। চলতেন গ্যানম্যান নিয়ে। তার সাথেও সব সময় থাকতো লাইসেন্স করা পিস্তল।
জানা যায়, জাহাঙ্গীর প্রধানমন্ত্রীর এপিএস হিসেবে পরিচয় দিয়ে সচিবালয়ে তদবির বাণিজ্য করতেন। এ পরিচয়ে তিনি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদও পেয়েছেন। নোয়াখালী-১ আসনে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন পাননি। কিন্তু নির্বাচনি এলাকায় গড়ে তুলেছিলেন নিজস্ব বলয়। দলে সৃষ্টি করেছিলেন বিভক্তি।