ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার বাজারে হঠাৎ করেই বেড়েছে ইলিশের দাম। কেজিতে প্রকারভেদে বেড়েছে ২শ’ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত। ভারতে ইলিশ রপ্তানির খবরে ভোলার বাজারে এমন পরিস্তিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশ রয়েছে, তারপরেও কেনো দাম চড়া। এখনই দাম নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং জরুরি।
সোমবার সকালে ভোলার কিচেন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সাইজের ইলিশের দাম বেড়েছে। বড় সাইজ ২ হাজার থেকে ৩ টাকা। যা আগে ছিল ১৬শ’ থেকে ১৭শ’ টাকা। অন্যদিকে মাঝারি সাইজের ইলিশের দাম গড়ে ২শ’ থেকে ৩শ’ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা পর্যন্ত।
বিক্রেতারা বলছেন, কিছুটা বেড়েছে ইলিশের দাম। তবে বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশের সরবরাহ রয়েছে বলে তারা জানায়।
এদিকে ইলিশের দাম নিয়ে ক্রেতাদের ক্ষোর আর অসন্তোষের যেন শেষ নেই। সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি সাধারণ ক্রেতাদের।
ক্রেতা শাহে আলম, আ. রহিম ও জুলফিকার আলী বলেন, নদীতে জেলেরা ঠিকমতো ইলিশ মাছ পাচ্ছে, বাজারেও পর্যাপ্ত মাছ আছে। তারপরও ইলিশের দাম কেন বাড়ল। ভারতে ইলিশ রপ্তানির ঘোষণা মাছের বাজার এখন অস্থিতিশীল। ইলিশ দাম তো নাগালের বাইরে চলে গেছে। সিন্ডিকেট না ভাঙলে ক্রেতারা ইলিশ কিনে খেতে পারবে না।
তবে ইলিশের দাম বাড়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি বিক্রেতারা।
ইলিশা ঘাটেরর আড়তদার মো. সাজাবুদ্দিন জানান, আগের তুলনায় ইলিশের দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু জেলেরা ঠিকমতো দাম পাচ্ছেন না। সিন্ডিকেট চক্রের দখলে আড়তের ইলিশের দাম। সামনের দিকে দাম কমার সম্ভাবনাও দেখছি না।
এদিকে আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৫ নভরম্বর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য বন্ধ থাকছে ইলিশ ধরা। ফলে বাজারে এখনই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সাধারণ ভোক্তারা।
আড়ৎ ঘুরে জানা গেছে, গেল সপ্তাহে এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ছিল প্রকারভেদে ১৬শ’ থেকে দুই হাজার টাকায়। তবে রপ্তানির খবরে দাম বেড়েছে। বর্তমানে ভোলার বাজারে ইলিশ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকা দরে।
এদিকে শুধু স্থানীয় বাজারেও নয়, আড়তগুলোতেও বেড়েছে মাছের দাম। তবে অন্যন্য সাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, বাজারে মাছসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চলছে। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।