বরিশাল প্রতিনিধি: সামাজিকভাবে বিয়ে হলেও এখনও অনুষ্ঠান হয়নি। এরইমধ্যে নগরীর বিবির পুকুর পাড়ের একটি আবাসিক হোটেলে রাত্রী যাপন করে নববিবাহিত স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু সেই রাত্রী যাপনই কাল হয়েছে নববধূর।
স্বামীর সাথে রাত্রী যাপনের একটি ভিডিও প্রথমে ভাইরাল করে দেবার হুমকি ও পরে ডিলেট করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে একটি বাসায় নিয়ে দলবদ্ধভাবে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয় নববধূকে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থানা পুলিশ ঝটিকা অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত পাঁচজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার সন্ধ্যায় তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা।
এর আগে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বরিশালের এয়ারপোর্ট থানার রহমপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
নির্যাতিতা নববধূর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আবাসিক হোটেলের স্টাফ (হোটেল বয়) জাহিদ গৃহবধূকে খবর দিয়ে জানায় তার স্বামীর সাথে রাত্রী যাপনের একটি ভিডিও শাহীন হাওলাদার নামের এক যুবকের কাছে তিনি দেখেছেন।
এ খবর শুনে শনিবার রাতে হোটেলে ছুটে আসেন গৃহবধু। পরে শাহীন এসে জানায়, ভিডিও যে মোবাইলটিতে রাখা সেটি তিনি বাসায় রেখে এসেছেন। এরপর প্রথমে ভিডিও ভাইরাল করে দেবার কথা বলা হলেও একপর্যায়ে ভিডিওটি ডিলেট করতে বাসায় যাওয়ার কথা বলে শাহীন।
পরে বাসায় যাওয়ার অজুহাতে নববধূকে বরিশাল নগরীর অদূরের রহমতপুর এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যায় শাহীন। পরে সেখানে একটি রুমে আটকে নববধূকে পালাক্রমে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। পরে সেখান থেকে কোনমতে ফিরে রবিবার সকালে পুলিশকে খবর দেয় নির্যাতিতা নববধূ।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ঝটিকা অভিযান চালিয়ে হোটেল বয় জাহিদ হোসেন ও শাহীন হাওলাদারসহ অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত শাহীন হাওলাদার, শাহ আলম, তাদের সহযোগি সবুজ হাওলাদার ও মিঠু চাপরাশির বাড়ি জেলার উজিরপুরে। আর হোটেল বয় জাহিদের বাড়ি বাকেরগঞ্জ উপজেলায়।
দলবদ্ধ ধর্ষনের ঘটনায় পুলিশ দ্রুত অ্যাকশন নিয়েছে জানিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, যেকোন অপরাধে কোন অপরাধীকেই ছাড় দেওয়া হবেনা। গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার শেষকার্যদিবসে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।