রাজশাহী কারাগারে বন্দি থাকাকালে অসুস্থ বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুকে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন পিন্টুর ছোট ভাই নাসিম উদ্দিন রিন্টু। মামলাটি গ্রহণ করে আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাজি সেলিম, ইরফান সেলিম, তৎকালীন আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, রাজশাহীর ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদ, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান ও জেলার শাহাদাত হোসেন।
এছাড়া ২০১৪ সালে পিন্টুর চিকিৎসার জন্য উচ্চ আদালতে পিটিশনও দাখিল করেন তিনি। আদালত নিজ খরচে পিন্টুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ আই হসপিটালে নিয়মিত চিকিৎসার নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের এ নির্দেশ অমান্য করে প্রথমে তাকে নারায়ণগঞ্জ ও পরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়।
আরও পড়ুন – চার মাসে রপ্তানি আয় ৪০০ কোটি ডলারের বেশি
বাদীর আইনজীবী আব্দুল মালেক রানা জানিয়েছে, আদালত হত্যা মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে মামলার বাদী ও পিন্টুর ছোটভাই নাসিম উদ্দিন রিন্টু বলেন, আমার ভাই ২০০১ সালের নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে হাজি সেলিমকে বিপুল ভোটে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্ষমতায় আসার পর হাজি সেলিমসহ অন্যরা তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিডিআর হত্যা মামলার আসামি করেছিল। তাদের পরিকল্পনাতে আমার ভাইকে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে। আমি এখন এঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই।