মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির (শিফট) নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। অতিথিরা শিফট নির্মাণে তরুণ প্রজন্মের জন্য বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির শিক্ষাক্রম ও গবেষণায় ভূমিকা রাখবেন বলে দাবি করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) জি এস এম জাফরউল্লাহ, প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ জহুরুল ইসলাম (যুগ্ম সচিব), মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. মারুফুর রশীদ খান, পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজীবুল ইসলাম প্রমুখ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রযুক্তির বিকেএসপি হিসেবে পদ্মা সেতুর পাশে মাদারীপুর শিবচরের কুতুবপুরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (শিফট) গড়ে তুলবে বাংলাদেশ হাইটেকপার্ক কর্তৃপক্ষ। ‘লার্নিং বাই ডুইং’ বা এক্সপেরিয়েনশিয়াল লার্নিং শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করে লার্নিং কমিউনিটি ভিত্তিক ইনোভেশন কালচার চর্চার পাশাপাশি দেশের প্রথম জিরোওয়েস্ট ও এনভায়রনমেন্টালি সাস্টেইনেবল ক্যাম্পাস হিসেবে শিফটকে প্রতিষ্ঠা করা হবে।
৭০.৩৪ একর জমির মধ্যে ২০ একর জমিতেই গড়ে তোলা হবে ভিশন ২০৪১ নামক ৪১ তলা বিশিষ্ট টাওয়ার। বাকিটায় গড়ে উঠবে শিক্ষাক্রম, গবেষণার জন্য ইনস্টিটিউট। থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সিনেপ্লেক্সসহ নান্দনিক অত্যাধুনিক সব সুবিধা।
২০২৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে ১৫০০ কোটি টাকার প্রকল্পের এ কাজ। শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে সেগুলোর মধ্যে আছে বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি, নিউরোটেকনোলজি, সাইবারসিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব রোবোটিক্স থিংস, ব্লক চেইন, ডেটাসায়েন্স, হাইপার অটোমেশন, টেকনোলজিক্যাল এথিক্স, বিহেভিয়ার এন্ড এক্সপেরিয়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনোভেশন ও অন্ট্রাপ্রেনর শিপ অন্যতম।
এছাড়া শিফটে ছয়তলা গবেষণা ভবন, চার তলা একাডেমিক ভবন, তিন তলা প্রশাসনিক ভবন, শিক্ষক-ছাত্রদের জন্য ডরমেটরি ভবন, ছয়টি বিশেষায়িত ল্যাব নির্মাণ করা হবে।
শিফটের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। যার চারটি মূল স্তম্ভ হলো স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি। দুর্নীতিমুক্ত জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা প্রণয়ন করে একটি স্মার্ট ইকোনমি তৈরি করা সম্ভব হবে।
চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, শিবচরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি স্থাপনের কারণে এ অঞ্চলের তরুণ-তরুণীদের আইটিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা গেলে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এর ফলে দেশে থেকেই আমাদের তরুণ-তরুণীরা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবে।