চলতি মূলধনের ঘাটতি, ডলারের সংকট ও উচ্চমূল্য এবং গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যে আগে থেকেই রয়েছে দেশের অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান। ঋণপত্র (এলসি) খোলার সমস্যাও কাটেনি। কিছু ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খুলতে না পারায় কাঁচামালও আমদানি করতে পারছে না। এভাবে চলতে থাকলে আসন্ন রোজায় নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে বলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানিয়েছে কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান।
কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খুলতে না পারায় সম্প্রতি সার্বিক তথ্য তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় দেশবন্ধু গ্রুপ। বিষয়টি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে যথাযথ নির্দেশনা দিয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে- এমনটি জানিয়ে আরও কয়েকটি বড় শিল্প গ্রুপ তাদের কাছে চিঠি দিয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যেই অতি প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য ও পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে এলসি খোলার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে দেশবন্ধু গ্রুপের পরিচালক (অপারেশন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাকির হোসেন বলেন, এলসি খুলতে না পারায় কাঁচামালের অভাবে প্রায় দেড় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে তাদের সুগার রিফাইনারি মিল।
পলিমার, ড্রিংকসসহ অন্য কারখানাগুলোর উৎপাদনও দুই-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত কমে গেছে। এ ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে ব্যাংক সহযোগিতা না করলে তাদের ২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকিতে পড়বে। কয়েক হাজার মানুষ তাদের কর্মসংস্থান হারাবে। তিনি আরও বলেন, সামনে রমজান মাসে চিনির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এখনই তাদের র-সুগার আমদানি প্রয়োজন। এ ব্যাংকের সহযোগিতা জরুরি। তাই এ সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।