Search
Close this search box.

প্রায় দেড় যুগ আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা

স্টাফ রিপোর্টার: যানজট নিরসনে নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুই বিশেষজ্ঞের সহায়তায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আসছে পরিবর্তন। ট্রাফিক সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণে প্রায় দেড় যুগ আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ। সিগন্যালে লাল-সবুজ লাইট স্থাপন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে হার্ডলাইনে যাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।

রাজধানী ঢাকার চিরচেনা চিত্র যানজট। ঢাকা শহরে প্রতিদিনই বাড়ছে যানবাহন ও মানুষের সংখ্যা। সে তুলনায় বাড়ছে না সড়ক কিংবা রাস্তার গতিপথ। সড়ক দখল, রাস্তার অব্যবস্থাপনা এবং ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের প্রবণতাকে যানজটের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০০২-২০০৫ সালে ১৩ কোটি ৬০ লাখ এবং ২০১০-২০১৮ সালে ‘ক্লিন এয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় ১১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১৬৮টি ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি বসানো হয় ঢাকায়। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাতিগুলোর প্রায় সবই নষ্ট। শুধু গুলশান-২ এ ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি রয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে ট্রাফিক সিগন্যাল সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। দীর্ঘক্ষণ হাতের ইশারা ও বাঁশি দিয়ে ট্রাফিক সিগন্যাল সামলান তারা। এতে সিগন্যাল অমান্যের প্রতিযোগিতা দেখা যায় চালকদের মধ্যে। বিগত সরকারের এসব প্রকল্পে অর্থের অপচয় ছাড়া কাজের কাজ কিছু হয়নি।

চলতি বছর থেকেই ট্রাফিক সিগন্যালে বসছে লাল-সবুজ বাতি। পাশাপাশি সড়কে অব্যবস্থাপনা রোধে ট্রাফিক পুলিশের ইনফোর্সমেন্ট, অবৈধ যানবাহন উচ্ছেদ, দখলমুক্ত ইন্টারসেকশন (সিগন্যাল মোড়), নির্দিষ্ট বাস স্টপেজে যাত্রী ওঠা-নামাসহ বিশেষজ্ঞদের ছয়টি সুপারিশ বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। বিশেষ করে বুয়েটের দুই জন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধায়নে ট্রাফিক পুলিশ, সিটি করপোরেশন ও ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সমন্বয়ে যানজট নিরসনে কাজ করছে সরকার। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাদিউজ্জামান ও অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন। তাদের দেয়া ছয়টি সুপারিশের ভিত্তিতেই যানজট নিরসনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লাল-সবুজ বাতির মাধ্যমে ট্রাফিক সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করা হলে ট্রাফিক পুলিশ তাদের মূল কাজ করার সময় পাবেন। আসলে সনাতন পদ্ধতিতে সিগন্যাল ছাড়া ও বন্ধ করা ট্রাফিক পুলিশের কাজ না। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং চালক ও পথচারীদের সড়ক বিধি মেনে চলাচলের ওপর জোর দেওয়া তাদের কাজ। অথচ হাত দিয়ে রাস্তায় নেমে এসে গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তারা সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করছেন।

জানা যায়, ‘সমস্যাভিক্তিক সমাধান’ পদ্ধতিকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ শুরু হচ্ছে। প্রথম ধাপে এর আওতা হবে হাইকোর্ট থেকে কাকরাইল, শাহবাগ, কাওরান বাজার ও মহাখালী হয়ে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত। এই রুটে মোট ২৯টি সিগন্যাল পয়েন্ট নিয়ে কাজ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ