পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। পাশাপাশি পিস্তল ছিনতাই মামলায় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সও জামিন পাননি।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে, তাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জামিন আবেদন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
আসামি পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, শেখ শাকিল আহম্মেদ রিপন, আকরম ও জাকির হোসেন জুয়েল। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ (৩২) নিহত হন।
এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
পরে এ মামলায় গ্রেপ্তার করে ৩ নভেম্বর আমীর খসরু ও স্বপনকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মো. তরীকুল ইসলাম।
শুনানি শেষে আদালত তাদের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এদিকে, পিস্তল ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স কারাগারে আটক রয়েছেন।
এর আগে, গত ৫ নভেম্বর আদালত তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ৮ নভেম্বর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।