পাঁচ বছর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দলবদ্ধ ধর্ষণের সেই আলোচিত ঘটনার মামলায় ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত। তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস ১৫ জন আসামির উপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণা করেন। এর আগে সকাল ১১টা থেকে পুরো রায় পড়েন বিচারক।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সুবর্ণচর উপজেলার মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মো. সোহেল (৩৮), মো. হানিফ (৩০), স্বপন (৪২), মো. চৌধুরী (২৫), ইব্রাহীম খলিল বেচু (২৫), মো. বাদশা আলম বসু (৪০), আবুল হোসেন আবু (৪০), মোশারফ (৩৫), মো. সালাউদ্দিন (৩২), মো. জসিম উদ্দিন (৩২), মো. হাসান আলী বুলু (৪৫), মো. মুরাদ (২৮), মো. জামাল ওরফে হেঞ্জু মাঝি (২৮) ও মো. সোহেল (২৮)। এর মধ্যে আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলাল (২৮) ঘটনার পর থেকে পলাতক।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানান, এ মামলায় যদি প্রত্যেক আসামির শাস্তি না হয় তাহলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা আরও বেড়ে যাবে। আসামিরা শুধু ভিকটিমের ক্ষতি করেনি, পুরো রাষ্ট্রের ক্ষতি করেছে। এ রায়ের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে অপরাধ প্রবণতা কমবে বলে মনে করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে নারীকে (৪০) মারধর ও দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। নির্যাতনের শিকার নারী চার সন্তানের জননী। তার অভিযোগ ছিল, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেয়ার জের ধরে ওই হামলা ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি তখন দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়।