পথে প্রান্তরে ডেস্ক: ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সন্তানদের ১১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ২ হাজার ৩৬৭ শতাংশ জমি ও ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
গত ২ জুলাই বিকেলে দুদক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন জানান, ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর ও তার দুই স্ত্রী এবং সন্তানদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের হিসাব বিবরণীর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ২১ কর্মদিবসের মধ্যে এ হিসাব দিতে বলা হয়েছে।
মতিউর ছাড়া বাকিরা হলেন- মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্নব, মেয়ে ফারজানা রহমান ইস্পিতা ও দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তার শিবলী।
দুদক সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ এবং ব্যাংক হিসাবের টাকার অনুসন্ধানে রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা সরানোর তথ্য মিলেছে। ১১৫টি ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সেখানে মাত্র ৪ কোটি টাকা রয়েছে। আর ছাগলকাণ্ড নিয়ে হট্টগোলের মধ্যেই এসব হিসাব থেকে ৮ কেটি টাকা তুলে নেন মতিউর।
এর আগে, ৩০ জুন মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ক্রয়কৃত কোনো জমি আছে কিনা, সেটি জানতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে চিঠি দেয় দুদক।
কোরবানির জন্য মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর প্রেক্ষিতেই এনবিআরের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।