স্টাফ রিপোর্টার \ বিভিন্ন পণ্য অবৈধভাবে আমদানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে ১৩৯৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা পাচারের ‘মূল হোতা’ মো. শহীদুল আলমকে গ্রেফতার করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
রবিবার কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে
গত ১৩ আগস্ট ২৯টি মানিলন্ডারিং মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো.শহীদুল আলমকে ইতালী যাবার পথে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পল্টন মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
শহীদুল অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজশে ভুয়া নাম, ঠিকানা ও দলিলাদির মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর সনদ (টিআইএন), ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন (বিআইএন), আমদানি রেজিস্ট্রেশন সনদ (আইআরসি), ব্যাংক হিসাব ও এলসি খুলে মেশিনারি ঘোষণায় উচ্চ শুল্কের মদ, সিগারেট, এলইডি টিভি, গুঁড়া দুধ, ফটোকপি মেশিন ইত্যাদি পণ্য অবৈধভাবে আমদানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ শুল্ককর ফাঁকি দিয়েছেন এবং বিপুল অংকের অর্থ পাচার করেছেন।
আসামি মো. শহীদুল আলম ও তার অন্যান্য সহযোগী মেসার্স অ্যাগ্রোবিডি অ্যান্ড জেপি, হেনান আনহুই অ্যাগ্রো এলসি, হেব্রা ব্রাঙ্কো এবং চায়না বিডিএল নামের ৪টি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান খুলে ওই প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যা ঘোষণায় ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানির ঘোষণা দিয়ে বিপুল পরিমাণ মদ, সিগারেট, এলইডি টিভি, গুঁড়া দুধ, ফটোকপি মেশিন আমদানি করে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মোট ১৩৯৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা মানিলন্ডারিং করেছেন।
আসামিকে পল্টন মডেল থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।