Search
Close this search box.

শিশুকে যৌন নিপীড়নের দোষ চাপালেন ‘শয়তানের’ ঘাড়ে

স্টাফ রিপোর্টার- ১১ বছর বয়সী এক ছেলে শিশুকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা ও নির্যাতনের পর নিজের অপরাধ সম্পর্কে পুলিশের কাছে  গ্রেফতারকৃত জালাল আহমেদ বলেছেন- শইল্যে তো মানে না স্যার, শয়তানের ধোঁকায় পড়ছি, আমার কি করার আছে কন!’

বুধবার ভোরে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পাঁচখাইন এলাকার এক মাজার প্রাঙ্গণ থেকে পালানোর সময় জালাল আহম্মদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেফতার  হওয়া জালাল আহম্মদ (৬০) লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ সুন্নিয়াপাড়া এলাকার মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার রাউজানের পাহাড়তলিতে ক্লাস শেষে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভুক্তভোগী চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রকে মোবাইল ও টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে যান জালাল। সেখানে জোরপূর্বক ওই শিশুকে যৌন নিপীড়ন করেন। পরে ভুক্তভোগী শিশুটি বাড়িতে ফিরে তার মাকে বিস্তারিত খুলে বললে তার মা বাদী হয়ে জালালকে একমাত্র আসামি করে রাউজান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে মামলা রুজু হওয়ার পরপরই জালাল আহম্মদকে গ্রেপ্তারের অভিযানে নামে রাউজান থানা–পুলিশ। পরে বুধবার ভোরে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পাঁচখাইন এলাকার এক মাজার প্রাঙ্গণ থেকে পালানোর সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জালালের বিরুদ্ধে অতীতে শিশু নির্যাতনে আরও অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, ‘নিজের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও জালালের বিরুদ্ধে একের পর এক শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, তিনি সম্ভবত বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত একজন মানুষ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ ও আরও তথ্য উদ্‌ঘাটনের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।’

এ রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘গ্রেপ্তার জালাল আহম্মদকে অভ্যাসগত একজন যৌন নিপীড়ক হিসেবে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। এর আগে ২০১৫ সালেও এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বেশ কয়েক মাস জেল খাটেন তিনি। তিনি চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরে বেড়ান। তিনি একজন ‘ভবঘুরে ‘ বলে জানতে পেরেছি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ