স্টাফ রিপোর্টার- সদ্য এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসক শাকির বিন ওয়ালীসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)। পুলিশের দাবি, তারা ২ জনই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য। কুমিল্লার ৭ শিক্ষার্থীকে বাড়ি ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করেছেন শাকির, স্পষ্ট দাবি সিটিটিসির ।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, সিটিটিসির ইন্সপেক্টর কাজী মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
কুমিল্লার ‘নিখোঁজ’ ৭ শিক্ষার্থীর সঙ্গে ডা. শাকিরের যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শাকিরের প্ররোচনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই ওই ৭ জন আনসার আল ইসলামে যোগ দেন।
মামলার বিবরণীতে কাজী মিজানুর রহমান উল্লেখ করেছেন, সিটিটিসির একটি দল গতকাল দুপুর ২টায় রাজধানীর মগবাজার থেকে আবরারুল হককে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিকেল ৫টায় রামপুরার হাজীপাড়ার বাসার সামনে থেকে ডা. শাকিরকে গ্রেপ্তার করে।
তবে, শাকিরের বাবা ডা. এ কে এম ওয়ালীউল্লাহ জানান, রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে শাকিরকে রবিবার সিআইডি পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রবিবারের পর থেকে ছেলের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না বলে জানান তিনি।
মামলায় মিজানুর দাবি করেছেন, ডা. শাকির জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য এবং তিনি সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ ও সদস্যদের সংগঠিত করতে আর্থিক সহযোগিতা করেন। ডা. শাকিরের বাবা-স্ত্রীও বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের কাজে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন।