রাকিব হাসান- জঙ্গিদের খোঁজে পাহাড়ে সমন্বিত অভিযানে বেশ অগ্রগতি হয়েছে এবং কয়েক দিনের মধ্যে আরও কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনার কথা জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, অপারেশনে বেশ অগ্রগতি হয়েছে, বেশ কিছু দূর পর্যন্ত চলে এসেছি। আশা করছি কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনতে পারব।
পাহাড়ে জোরালো অভিযান চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু জায়গাটা দুর্গম, ঝুঁকিপূর্ণ এবং পর্যটকরা ঘোরাফেরা করেন, এজন্য স্থানীয় প্রশাসন ওই এলাকায় পর্যটকদের যেতে নিষেধ করছেন।
নতুন একটি জঙ্গি দলের পাহাড়ি যোগের তথ্য সামনে আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে এই ‘সমন্বিত’ অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানের অংশ হিসেবে দুর্গম এলাকায় করা হচ্ছে প্রচারপত্র বিলি, চলছে মাইকিং। জঙ্গি সংগঠনটির ১২ জনকে গ্রেপ্তারের কথাও জানিয়েছে র্যাব।
র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, তথা-কথিত হিজরতের নামে যারা বাসা থেকে বের হয়েছে, তাদের হিজরতে যেতে কারা উদ্বুদ্ধ করেছে, কারা প্রশিক্ষণ দিয়েছে, তাদের মধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাদের তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা জানতে পেরেছি, নিরুদ্দেশ জঙ্গিরা পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এবং অবস্থান করছে। এরপরই এ মাসের ১০ তারিখ পার্বত্য এলাকায় যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে।
এই জঙ্গিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য্য অভিযান চলছে জানিয়ে এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, পাহাড়ে জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য মিলেছে। অভিযান অব্যাহত আছে। দ্রুতই বিস্তারিত গণমাধ্যমে জানানো হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মঈন বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের যে তথ্য তাতে দুর্গম অঞ্চলে স্থায়ী হতে সাপোর্ট লাগে। যে কেউ গিয়ে সেখানে স্থায়ী হতে পারবে না। এজন্যই বিচ্ছিন্নতাবাদী কিছু সংগঠন নিরুদ্দেশ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, রসদ সরবরাহ করা, এগুলো করছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি।
এই তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা সেখানে অভিযান চালাচ্ছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেগুলো গুজব মনে হয়েছে।
কিছু কিছু ফেইসবুক পেইজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেসব পেইজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান নিয়ে যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, এগুলো ‘ভুল তথ্য’।
পাহাড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী দলের সশস্ত্র ট্রেনিং নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে, সে বিষয়ে এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, “এগুলো আমাদের কাছে গুজব মনে হয়েছে। এই ভিডিও সম্ভবত আমাদের এখানের না। তবে আমাদের যে অভিযান চলছে, তাদের যদি আটক করতে সক্ষম হই, তখন বিস্তারিত বলতে পারব।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্গম এলাকায় জঙ্গিদের অবস্থান করা দুরূহ। কারণ, চেহারা… অনেক ব্যাপার আছে। তাদের (বিচ্ছিন্নতাবাদীদের) সহযোগিতা ছাড়া তারা সেখানে আছে, এটা ঠিক না। তবে তাদের গ্রেপ্তারের পরে আমরা বলতে পারব।