স্টাফ রিপোর্টার- হাজারীবাগ এলাকার টিকটকারদের পুল পার্টির আয়োজন ছিল ধামরাইয়ের একটি রিসোর্টে। পার্টি শেষ করে সেখান থেকে ফেরার পথে বাসের ভেতর গাঁজা সেবনকে কেন্দ্র করে সিনিয়র-জুনিয়র গ্রুপের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে জুনিয়র গ্রুপের সদস্যরা সিনিয়র গ্রুপের এক সদস্য’র বান্ধবীকে ইভটিজিং করে। তারা তখন নিজেদের মধ্যে সমাধান করে নিলেও একে অপরকে ঘায়েল করতে সুযোগ খুজঁতে থাকে।
বাসটি হাজারীবাগ যাবার পথে শেরে বাংলা নগর থানাধীন আসাদ গেট এলাকায় পৌছালে ইভটিজিং এর শিকার ওই নারী সহ বান্ধবী দের বাস থেকে নামিয়ে দেয়। এরপর দুই গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, সিনিয়র গ্রুপের এক সদস্য রাব্বি চাকু নিয়ে জুনিয়রদের দিকে তেড়ে যান। জুনিয়ররা চাকুটি কেড়ে নিয়ে তাকেসহ অপর আরেকজনকে ছুরিকাঘাতে আহত করে। পরে রাব্বিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন রাতে মারা যান। শাওন নামে আহত অন্যজনের অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
তিনি জানান, শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে রাজধানীর হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, লালবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত ফারুক, জিতু ও জসিমকে গ্রেফতার করে।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতদের তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে গ্রেফতার করা হয় মোস্তফা, জোবায়ের ওরফে যুবরাজ ওরফে জয়, মো. রাব্বি ও মো. রোমানকে।
তিনি আরও বলেন, হাজারীবাগের টিকটকার শান্ত স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের নিয়ে গত ১ নভেম্বর ধামরাইয়ের একটি রিসোর্টে পুল পার্টির আয়োজন করেন। এতে শতাধিক টিকটকার অংশ নেন। পুল পার্টি শেষে বাসে করে ফেরার পথে গাঁজা সেবনকে নিয়ে সিনিয়র জুনিয়রদের কথা কাটাকাটি হয়। আসাদগেটে আসার পর হামলার ঘটনা ঘটে এবং হাসপাতালে মারা যান রাব্বি। জড়িতরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে।
তিনি জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত ফারুকের নামে হাজারীবাগ থানায় তিনটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। অন্যান্য অভিযুক্তরাও বয়সে তরুণ, তারা কেউ কেউ ছাত্র, কেউ কেউ কারখানায় কর্মচারী।