রাজধানীতে চুরি ও ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চুরি ও ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করছে।  এসময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে  ১৮ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। বুধবার রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত ও বনানী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-  মোঃ হারুন ওরফে আনিছুজ্জামান (৪৫), মোঃ হারুন-অর-রশিদ (৩৯), মোঃ সোহেল (৩২),  মোঃ এনামুল হক (৩৮) এবং মোঃ নূর ইসলাম (৩২)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ ইমরান হোসেন মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা মহানগর এলাকায় চুরি ও ছিনতাই বৃদ্ধি পাওয়ায় গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ চুরি ও ছিনতাই চক্রের উপর গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। গত বুধবার পল্টন থানাধীন বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ রাজধানী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের সামনে চোরাই মোবাইল কেনা-বেচার সময় চুরি ও ছিনতাই চক্রের সদস্য মোঃ হারুন ওরফে আনিছুজ্জামান, মোঃ হারুন-অর-রশিদ ও মোঃ সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যমতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের অপর ২ সহযোগী মোঃ এনামুল হক ও মোঃ নূর ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডিবি পুলিশকে জানায়, গ্রেফতারকৃত মোঃ হারুন ওরফে আনিছুজ্জামান ও মোঃ হারুন-অর-রশিদ বরিশালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সম্মেলনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে যোগদান করে। অপর সহযোগী এনামুল হকসহ তারা বরিশাল থেকে ঢাকায় আসে। রাজনীতির পাশাপাশি তারা হাত খরচের টাকা জোগারের জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ, মিটিং-মিছিলে অংশগ্রহণ করে মোবাইল-ম্যানিব্যাগসহ মূল্যবান মালামাল চুরি ও ছিনতাই করে থাকে।

চক্রটি ২০১৫ সাল থেকে ঢাকার রামপুরা, বাড্ডা, খিলক্ষেত, বনানী, মিরপুর, পল্লবী, ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও গুলিস্থান থেকে চুরি ও ছিনতাইকৃত মোবাইল সংগ্রহ করে কমদামি মোবাইলগুলো বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করে এবং দামি মোবাইলগুলো বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করে আসছিল। ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

ডিএমপি‘র গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব রিফাত রহমান শামীম এর সার্বিক দিক নির্দেশনায়, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব এসএম রেজাউল হক এর তত্তাবধানে ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।