স্টাফ রিপোর্টার: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণসহ তিনটি বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে বেরিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছি। এখন এই ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিলোপের ক্ষেত্রে আমাদের সামনে আরেকটি বাধা এসে দাঁড়িয়েছে। চুপ্পুর অপসারণ এবং আমাদের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিষয়ে গত দুদিন ধরে দেশের প্রসিদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলো, যেগুলো আমাদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছে, তাদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। সেই ধারবাহিকতায় আজ আমরা বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রথমত, প্রক্লেমেশন অব সেকেন্ড রিপাবলিক কীভাবে করা যায়, সেটি নিয়ে কথা বলেছি। দ্বিতীয়ত, চুপ্পুর অপসারণ দ্রততম সময়ে কীভাবে করা যায়, রাজনৈতিক চেতনা কীভাবে তৈরি করা যায়, যেকোনো ধরনের সংকট কীভাবে পরিবহার করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তৃতীয়ত, জাতীয় ঐক্য কীভাবে ধরে রেখে সরকারের সার্বিক ফাংশনিংয়ের ধারবাহিকতা অব্যাহত রাখা যায়, সেই বিষয়ে কথা বলেছি।
রাষ্ট্রপতির অপসারণের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বৈঠকে অংশগ্রহণ করা নেতারা আমাদের কথা শুনেছেন। তারা জানিয়েছেন, আমাদের বার্তা নিয়ে তারা তাদের ফোরামে কথা বলবেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, গত দুদিন আমরা বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাদের সঙ্গেও এসব বিষয়ে কথা বলেছি। তাদের জায়গা থেকে তারা একমত প্রকাশ করেছেন। আগামীকাল গণ অধিকার পরিষদ, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট দলের সঙ্গে আমাদের বৈঠক রয়েছে। ইতোমধ্যে গত ৫ আগস্ট যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে, সেটার ধারাবাহিকতা কীভাবে ধরে রাখা যায়, এর জন্য আমাদের এসব বৈঠক অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে হাসনাত আব্দুল্লাহ ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আরও ৬ জন প্রতিনিধি ছিলেন। বিএনপির পক্ষ থেকে ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ এবং প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী।