Search
Close this search box.

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে জামায়াত আমির গ্রেফতার, ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

স্টাফ রিপোর্টার- জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) বিভাগ। এর আগে গত ৯ নভেম্বর তার ছেলে ডা. রাফাত চৌধুরীকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে সিটিটিসির বোম ডিসপোজাল ইউনিট।

মঙ্গলবার সকালে সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগে জামায়াতের আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার ছেলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

সোমবার দিবাগত রাত ১টায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে।

এর পর গ্রেফতারকৃত আমীর ডা. মো. শফিকুর রহমানকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন যাত্রাবাড়ি থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা। পুরো আদালত জুড়ে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা । আদালত থেকে তাকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় জামায়াত পন্থী আইনজীবিরা তার মুক্তির দাবিতে আদালতের বাইরে শ্লোগান দিতে থাকেন।

এদিকে সিটিটিসি জানিয়েছে, জামায়াতের আমিরের ছেলে গ্রেফতার ডা. রাফাত চৌধুরী নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন।

২০২১ সালে আরাকানে রোহিঙ্গাদের পক্ষে জিহাদের জন্য রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন  আরসা ও আরএসও  উভয় সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে হিজরত করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ‘আরএসও’ নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন ডা. রাফাত।

গত ১ নভেম্বর রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- সেজাদুল ইসলাম সাহাব তানিম ওরফে ইসা ওরফে আরাফাত ওরফে আনোয়ার ওরফে আনবির (২৪), মো. জাহিদ হাসান ভূঁইয়া (২১) ও সৈয়দ রিয়াজ আহমদ (২২)।

তাদের তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা প্রত্যেকেই উগ্রবাদি জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. রাফাত চৌধুরীর মাধ্যমে দাওয়াতপ্রাপ্ত হন। তারা গত ৬ নভেম্বর ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে গ্রেফতার তিনজন ডা. রাফাতসহ অন্য সহযোগীদের নাম প্রকাশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট এলাকা থেকে ডা. রাফাত চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ