স্টাফ রিপোর্টার- নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এতে পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তাসহ ১১ সদস্য আহত হয়। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে জামায়াতের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।
জামায়াতের হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের খোঁজ-খবর নিতে শনিবার দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা অতীত ইতিহাস থেকে দেখেছি বগুড়ায় চাঁদে সাঈদীকে দেখা গেছে বলে পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে, গাইবান্ধায় দেখেছি ফাঁড়িতে আগুন দিয়ে পুলিশ সদস্যকে হত্যা করতে। তারা (জামায়াত ইসলাম) অতীতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আবারও তারা গতকালের ঘটনায় অতীত ইতিহাসের অপকর্মের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ কঠোর হাতে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। জামায়াতের অতীত ইতিহাস ফিরে আসুক এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেবো না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জামায়াতের মিছিল বের হওয়ার তথ্য ছিল কি না-জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের পুলিশ প্রস্তুত ছিল। তারা প্রথমে বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল বের করার তথ্য প্রচার করেছে, সেখানে আমাদের পুলিশ ছিল। তারা মিছিল বের করার চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের বাধায় মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়। এরপর তারা মৌচাক-মালিবাগ এলাকায় মিছিল বের করে।
যেহেতু আপনারা জানেন ওই এলাকা তিন থানার মোড়, ফলে প্রত্যেক থানা নিজ নিজ এলাকায় প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু এ সুযোগে বিচ্ছিন্নভাবে একত্রিত হয়ে মিছিল বের করে। মৌচাকে পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষ হয়।
জামায়াতের আমির গ্রেফতার আছে। কিন্তু নির্দেশদাতা হিসেবে বাইরে থাকা শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযান হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল রাত থেকেই অভিযান চলছে। আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।