স্টাফ রিপোর্টার- স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের দোষর জামাত শিবিরের সহযোগিতায় দেশের আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে মনগড়া তথ্য উপাত্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের সোস্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোহাম্মদ নুর উন নবী, মো. আফসার উদ্দিন রোমান, মো. আবু সাইদ সাজু, মো. স্বাধীন মিয়া ও মো. আব্দুস সালাম।
ডিবি প্রধান বলেন কিছু ব্যক্তি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মনগড়া মিথ্যা তথ্য প্রচার করে দেশের আর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। সস্প্রতি বিষয়টি ডিবির সাইবার মনিটরিং টিমের নজরে এলে তদন্ত করে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরাসহ বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তিরা দেশে ও দেশের বাইরে অবস্থানরত স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের দোষর জামাত শিবিবের সহযোগিতায় দেশের আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে মনগড়া তথ্য উপাত্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচার করছে।
ডিবি প্রধান আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য ব্যাংক। দেশ বিরোধী চক্র সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাংকিং খাত নিয়ে আস্থার সংকট তৈরি করার চেষ্টা করছিল। এই চক্রের মূল উদ্দেশ্য দেশের আর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা।
গ্রেপ্তারকৃতরা এস. আলম গ্রুপসহ স্বনামধন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানদের নামে ব্যাংকিং সংক্রান্ত মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব চালিয়ে আসছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন হারুন অর রশীদ।
ডিবি প্রধান জানান, প্রবাসীদের রেমিটেন্স না পাঠানোর বিষয়েও প্রচারণা চালিয়ে আসছিল চক্রটি। ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে, ব্যাংকে টাকা নাই, এরকম নানাবিধ গুজব রটিয়ে তারা মানুষের মাঝে একটি আতংক তৈরি করে।
এসব গুজবের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিভিন্ন সময় পরিপত্র জারি করা হলেও চক্রটি তাদের অপ্রপ্রচার চালিয়ে আসছিল।
হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা ইতিমধ্যে চক্রের বেশ কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছি। তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকেই আইনের আওতায় আনব। আমরা আসামীদের রিমান্ড চাইব। তাদেরকে রিমান্ডে এনে বাকী জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান ডিবি প্রধান হারুন।