স্টাফ রিপোর্টার- শরীয়তপুরের জাজিরায় ট্রাকের পেছনে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কা ছয়জন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পদ্মা সেতুর দক্ষিণ থানা সংলগ্ন সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। টানা ২৬ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে চালক ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারনা করছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আনারসিয়া গ্রামের লতিফ মল্লিকের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫৫), তার মেয়ে লুৎফুন নাহার লিমা (৩০), বাউফল উপজেলার আনারসিয়া গ্রামের ফজলে রাব্বি (৩০), খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার চন্দনিমহল এলাকার কাওসার হাওলাদারের ছেলে অ্যাম্বুলেন্সচালক রবিউল ইসলাম (২৮), চালকের সহকারী মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর গ্রামের জ্বিলানী (২৮) ও বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাসাইল গ্রামের সাংবাদিক মাসুদ রানা (৩০)।
শিবচর হাইওয়ে থানার পরিদর্শক আবু নাঈম মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হক বলেন, ‘আমরা জেনেছি অ্যাম্বুলেন্সের চালক রবিউল টানা ২৬ ঘণ্টা ডিউটিতে ছিলেন। এ কারণে তিনি ক্লান্ত ছিলেন। সম্ভবত গাড়ি চালাতে চালাতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এ কারণে চলন্ত ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় অ্যাম্বুলেন্সটি। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সটি ট্রাকের নিচে ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলেই চালকসহ গাড়িতে থাকা ছয়জন প্রাণ হারান।
তিনি আরও বলেন, ‘চালক রবিউল রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা থেকে রোগী নিয়ে ভোলা যান। ভোলা থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বরিশাল শহরের বেলভিউ হাসপাতাল থেকে আরেক রোগী নিয়ে গতকাল সোমবার রাতে ঢাকায় রওনা হন। দীর্ঘ ২৬ ঘণ্টা গাড়ি চালানোর কারণে তার শরীর ক্লান্ত ছিল। গাড়ি চালানোর সময় তিনি হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, হঠাৎ থানার পাশে বিকট শব্দ শুনতে পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ৬ জনই ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় লাশগুলো উদ্ধার করি।