Search
Close this search box.

অস্ত্রসহ দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার রাজ্জাক ও দুই সহযোগী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার- রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আন্তঃ জেলা দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার রাজ্জাক ও অপর ২ জন পেশাদার ডাকাতকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বুধবার রাতে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন রায়েরবাগ এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের মূল হোতাসহ ৩ ডাকাতকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন – ইছা খাঁ ওরফে রাজ্জাক (৩৪) তার অপর সহযোগী সৈয়দ জসিম উদ্দিন (৫০) ও নুর ইসলাম (২৮) । এ সময় তাদের নিকট থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ১টি একনলা বন্দুক, ৩ রাউন্ড গুলি, ১টি সুইচ গিয়ার চাকু, ২টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করে র‌্যাব সদস্যরা।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য যাদের মূলহোতা ইছা খাঁ ওরফে রাজ্জাক। তারা গত এক মাসে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, চাঁদপুর, পাটুয়াখালী ও কুড়িগ্রামে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালংকার, টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ ডাকাতি করেছে । এছাড়াও তারা বড় বড় ব্যবসায়ীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করত এবং ডাকাতির কাজে কেউ বাধা প্রদান করলে বা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদানসহ অস্ত্র দিয়ে হত্যা ও গুরুতর জখম করত। তারা প্রতি মাসে ২/৩টি ডাকাতি করত বলে প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করেছে।

তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা ডাকাতির পূর্বে স্থান নির্ধারণ করে বেশ কয়েকবার রেকি করে তারপর অস্ত্রশস্ত্র ও ডাকাতির প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে তাদের নির্ধারিত স্থানে ডাকাতি করত ।

তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে অধিনায়ক জানান , গ্রেফতারকৃত ডাকাত সর্দার রাজ্জাক কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। সে অন্য পেশার আড়ালে দীর্ঘদিন যাবৎ ডাকাতি চক্রের নেতৃত্ব প্রদান করে আসছিল। তার নির্দেশে উক্ত ডাকাত দলের সকল সদস্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করত। তার নেতৃত্বে ডাকাত চক্রটি উল্লেখিত এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিদেশ থেকে আগত প্রবাসিদের বাড়িতে এবং বিভিন্ন মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করে আসছিল। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলাসহ মোট ৪টি মামলা রয়েছে ।

গ্রেফতারকৃত জসিম বরগুনা জেলার বাসিন্দা। সে অন্য পেশার আড়ালে ডাকাত চক্রটির তথ্য সংগ্রহকারী ও দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলাসহ মোট ০৫টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও সে ২০১৩ সালের মগবাজারের চাঞ্চল্যকর বিদেশীর বাড়ীতে ডাকাতির সময় কেয়ারটেকার হত্যা মামলার হত্যাকারী ।

গ্রেফতারকৃত নুর ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার বাসিন্দা। সে অন্য পেশার আড়ালে রাজ্জাকের সাথে ডাকাতি চক্রের অন্যতম সদস্য হিসেবে কাজ করে আসছিল। নুর ইসলামের আশ্রয়স্থলে ডাকাতির সমস্ত পরিকল্পনা করা হতো এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সকল অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি তার দায়িত্বে তাদের গোপন আস্তানায় রাখা হতো ।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রুজুর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ