রাকিব হাসান- শখের মোটরসাইকেল রেখে জরুরি কোন কাজে গেছেন, এসে দেখলেন মোটরসাইকেলটি নেই। এমনি একটি ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে চোরাই মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ থানা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ১০টি চোরাই মোটরসাইকেল।
জানা গেছে ঢাকা থেকে এই চোরাই মটরসাইকেল গুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে ৫০-৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে চোর চক্রের সদস্যরা।
লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জাফর হোসেন জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বর আজিমপুর কবরস্থানের সামনে এক ব্যক্তি নীল রঙের একটি মোটরসাইকেল রেখে নিকটাত্মীয়ের দাফন করতে যান। এক ঘণ্টা পর ফিরে এসে তিনি মোটরসাইকেলটি আর পাননি। এ ঘটনায় তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি মামলা হয়।
তিনি বলেন, লালবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আশফাক আহমেদের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ একটি দল ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করে ঘটনার সাথে জড়িত রাজিব হোসেন ওরফে শেখ রাসেল ও রাকিবুল ইসলাম ওরফে রাকিব নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির ছোট ঘিমকলা এলাকা থেকে সেই চোরাই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, চক্রের মূল হোতা রাজিবের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেনা-বেচা চক্রের সাথে জড়িত দেলোয়ার হোসেন ওরফে দিলু ওরফে নয়ন, বিপুল শেখ, জাহিদুল ইসলাম ও আরিফ খান নামের আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় আরো ৯টি মোটরসাইকেল।
চুরির কৌশল সম্পর্কে তিনি বলেন, এরা ঢাকা শহরের জনবহুল এলাকায় ঘুরে ঘুরে অতিরিক্ত লক না থাকা বা দুর্বল লক থাকা এসব মোটরসাইকেল ‘মাস্টার চাবি দিয়ে মুহূর্তে খুলে পালিয়ে যায়। এরপর ৩০-৫০ হাজার টাকায় সেগুলো চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়কারীদের নিকট বিক্রি করে। এসব মোটরসাইকেল ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫০-৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিএমপিসহ দেশের একাধিক থানায় ১১টি মামলা রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।