স্টাফ রিপোর্টার- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) মসজিদের সামনে একটি কাভার্ডভ্যান আটকিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আটক তিন শিক্ষার্থীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভিকটিম ট্রাক চালক আবু তাহের জুয়েল বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি দস্যুতার মামলা করেন। পরে তাদের আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
সোমবার সকালে ডিএমপি শাহবাগ থানার অফিসার্স ইনচার্জ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে বুয়েট এলাকায় ছিনতাই করার সময় তাদের হাতেনাতে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশের দায়িত্বরত টহল টিম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ঢাবির থিয়েটার ডিপার্টমেন্ট শিক্ষার্থী ফজলে নাবিদ সাকিল (১৯), ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট শিক্ষার্থী রাহাত রহমান (২১) ও সমাজকর্ম ডিপার্টমেন্ট শিক্ষার্থী সাদিক আহাম্মদ (২০)। তারা তিন জনই ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী। ফজলে নাবিদ সাকিল ও সাদিক আহাম্মদ ঢাবির বিজয় একাত্তর হলের গণরুমে, রাহাত রহমান চকবাজারের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
তিনি জানান, শনিবার দিবাগত রাতে তারা বুয়েট মসজিদের সামনে একটি কাভার্ডভ্যান আটকিয়ে চালকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে চালকের ডাক-চিৎকারে শাহবাগ থানার একটি টহল টিম এগিয়ে আসলে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে চকবাজার থানা পুলিশের সহায়তায় তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।
মামলার বাদী, ট্রাক চালক আবু তাহের জুয়েল জানান, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আমার ছোট ভাই রাশেদসহ লালবাগ থেকে টঙ্গী যাচ্ছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বুয়েট মসজিদের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে একটি লাল ও কালো রঙের মোটরসাইকেলে তিনজন এসে গাড়ির গতিরোধ করে। পরে ট্রাকের সামনে তাদের মোটরসাইকেলটি রেখে আমাকে ও আমার ভাইকে গাড়ি থেকে নামতে বলে।
তিনি আরও জানান, তারা আমাদের হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারপিট করে পকেটে থাকা নগদ ১৫ হাজার টাকা জোর করে ছিনিয়ে নেয়। পরে ডাক-চিৎকার দিলে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় শাহবাগ থানার টহল দলের এসআই ওমর ছানী নাঈম এসে তাদের আটক করে। পরে পুলিশ সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আটক করে গ্রেফতার দেখিয়েছে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও আদালত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।