স্টাফ রিপোর্টার- পুলিশের হেফাজতে খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনিকে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশের ১৫ সদস্যের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
সোমবার সকালে নিহতের বাবা ইয়াকুব আলীর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ অপক্ষেমান রেখে বিকেলে খারিজের আদেশ দেন।
মামলায় আসামিরা ছিলেন ডিএমপির সাবেক পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ডিবি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (দক্ষিণ) জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিবি পুলিশের রমনা জোনের সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত, উপপরিদর্শক দীপক কুমার দাস, দক্ষিণ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদুল হক তালুকদার, পুলিশ পরিদর্শক ফজলুর রহমান, ওহিদুজ্জামান, এস এম শাহরিয়ার হাসান, এসআই শিহাব উদ্দিন, বাহাউদ্দিন ফারুকী, জাহাঙ্গির হোসেন, কনস্টেবল সোলাইমান, আবু সায়েদ, লুৎফর রহমান ও আলাউদ্দিন।
মামলায় বলা হয়, ডিবি দক্ষিণ পুলিশের উপ-কমিশনার কৃষ্ণপদ পালের নির্দেশে ২০১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি পুলিশের উপপরিদর্শক দিপক কুমার দাসসহ ৪/৫ জন নুরুজ্জামান জনিকে গ্রেপ্তারের জন্য বাদীর বাসায় আসে। এসে জনিকে না পেয়ে তার ছোট ভাই মনিরুজ্জামান হিরাকে আটক করে। এ সময় পুলিশ জানায় জনিকে তুলে দিলে হিরাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এরপর মিথ্যা মামলায় হিরাকে আদালতে চালান করে। খবর পেয়ে জনি ১৯ জানুয়ারি হিরাকে কারাগারে দেখতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে উপপরিদর্শক দিপক কুমার দাস তাকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। বাদী ও তার পরিবার আসামিদের জিজ্ঞেস করলে তারা এই বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে ২১ জানুয়ারি খিলগাঁও থানার জোড়াপুকুর খেলার মাঠে জনির মরদেহ পরে থাকতে দেখেন পরিবার। সেখানে পুলিশ জানায় জনি বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। বাদী ও তার পরিবার ঢাকা মেডিকেল মর্গে গিয়ে জনির বুকের ডানে ও বামে, হাতেল তালুতে ও কব্জিতে ১৬টি গুলির চিহৃ দেখতে পায়।
মামলায় আরও বলা হয়, আসামি দিপক কুমার দাস বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি জনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সে হিসেবে জনি পুলিশ হেফাজতে ছিল। আবার একইদিন জনির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলা করেন দিপক কুমার। সেখানে জনিকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানানো হয়। এরপর একই থানার জানির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে আরও একটি মামলা করা হয়। সে সময় জনি পুলিশ হেফাজতে ছিল।
মামলায় বাদীদের অভিযোগ, জনিকে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি আসামিরা আটকের পর ২১ জানুয়ারি মধ্যে তাদের হেফাজতেই নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করেছেন।