স্টাফ রিপোর্টার- রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও চুরি হওয়া মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে সেগুলো পুনরায় বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। এক্ষেত্রে অ্যাপস ব্যবহার করে তারা মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করতেন। ওই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা।
এর আগে, সোমবার পল্লবী থেকে ওই চক্রের সদস্য মো. রাসেলকে (৩১) গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওইদিন কাফরুল থানা এলাকা থেকে মো. কবির (২৫) ও মো. সিয়ামকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১১০টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, একটি কম্পিউটারের সিপিইউ, দুইটি এসএসডি ড্রাইভ জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা বলেন, বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পারি রাসেলসহ কয়েকজন ব্যক্তি ছিনতাই বা চোরাই মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে পুনরায় বাজারজাত করে আসছেন। এরপর অভিযান চালিয়ে রাসেলকে ৬টি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপসহ গ্রেফতার করি। ল্যাপটপ ও মোবাইলে অ্যাপসের মাধ্যমে চোরাই মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করতেন রাসেল।
তিনি বলেন, রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে চক্রের সদস্য কবির ও সিয়ামের নাম জানতে পারি। শাহ আলী প্লাজার ৫ম তালার ভূঁইয়া টেলিকম নামের দোকানে চক্রটি মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করতো। ওই মার্কেটে অভিযান চালিয়ে কবির ও সিয়ামকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০৪টি চোরাই মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক জব্দ করা হয়।
মিরপুর বিভাগের ডিসি বলেন, আসামি রাসেল জানিয়েছেন তিনি গত দেড় বছর ধরে এই কাজে যুক্ত তিনি। রাসেলের চক্রের কাজ হলো চুরি ও ছিনতাই করা মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন। চোরাই মোবাইল চক্রের কিছু সদস্য চুরি ও ছিনতাই করা মোবাইল ফোন কম দামে কেনেন। পরে সেগুলোর আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে বিক্রির জন্য বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মিরপুর বিভাগের ডিসি বলেন, মিরপুরের প্রতিটি থানায় মেসেজ দেওয়া হয়েছে। যেসব মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে বা হারিয়ে গেছে ওই মোবাইল ফোনের জিডি বা মামলা যাচাই-বাছাই করে সেগুলো প্রকৃত মালিককে ফেরত দেওয়া হবে।