Search
Close this search box.

মতিঝিল ও ধানমণ্ডি থেকে ১৩,৫০০ পিছ ইয়াবা সহ দুইজন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার- রাজধানীর মতিঝিল ও হাজারীবাগ পশ্চিম ধানমণ্ডি এলাকা থেকে  ১৩,৫০০ পিস অ্যামফিটামিনযুক্ত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ মাদক কারবারিকে  গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদফতর (ডিএনসি)।

ডিএনসির ঢাকা মেট্রোঃ উত্তর কার্যালয়ের একটি আভিযানিক দল শনিবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার মতিঝিল এবং হাজারীবাগস্থ পশ্চিম ধানমন্ডি এলাকা থেকে  অ্যামফিটামিনযুক্ত ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। এসময় দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ডিএনসি।

ডিএনসি ঢাকা মেট্রোঃ(উত্তর) কার্যালয় এর সহকারী পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভিাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ জাফরউল্লাহ কাজল এর সার্বিক নির্দেশনায়, ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর উপপরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান এর তত্ত্বাবধানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএনসি’র মোহাম্মদপুর সার্কেল এর  সমন্বয়ে গঠিত টিম শনিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা উদ্ধার করে। এ সময় এক নারী মাদক ব্যাবসায়ী সহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- মাদক সম্রাট আঃ রাজ্জাক লিটন (৫২) ও লিপি রহমান (৪০) ।

উপ-পরিচালক মেহেদী জানিয়েছেন, চক্রটি দীর্ঘ সময় যাবৎ ঢাকা সহ আন্তঃজেলার বিভিন্ন জায়গায় মাদক সরবরাহ করে আসছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বেশ কিছুদিন ধরে তাদের কার্যক্রম ও গতিবিধি মনিটর করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা  দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা টেকনাফ, কক্সবাজার, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রাম হতে  ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের নিকট বিক্রি করে আসছিলো।

তাদের ব্যবসায়ের কৌশল হিসেবে মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, তারা অভিনব কৌশলে টেকনাফ, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং ব্রাহ্মনবাড়িয়া হতে ইয়াবার বড় বড় চালান এনে ঢাকায় তাদের নির্ধারিত কয়েকজন লোকের মাধ্যমে মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। এই মাদক চোরা কারবারিরা টেকনাফ, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং ব্রাহ্মনবাড়িয়া  থেকে মাদক ঢাকায় আনার ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার হিসেবে বিভিন্ন জনকে ব্যবহার করে।  ব্যবসার নিরাপত্তার স্বার্থে তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় নানন কৌশলে ডেলিভারীর মাধ্যমে ইয়াবার ব্যবসা পরিচালনা করতো।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ