স্টাফ রিপোর্টার- রাজধানীর ধানমন্ডি কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এসময় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মারামারির ঘটনায় পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ ও আটক করে। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা দুই সাংবাদিক লাঠিচার্জের দৃশ্য ধারণ করায় তাদেরকেও লাঞ্ছিত করে পুলিশ।
লাঞ্ছিত সাংবাদিকদের মধ্যে একজন চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি ইনামুল কবীর রুপম এবং অন্যজন একটি অনলাইন গণমাধ্যমের অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক খলিলুর রহমান।
রবিবার দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম হোসেনের দাবি, তিনি এমন কোনো ঘটনা শোনেননি।
প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক লতিফ রানা জানিয়েছেন, সাংবাদিকরা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সংবাদ সম্মেলন শেষে বের হচ্ছিলেন। ওই সময় পুলিশ কয়েকজন ছাত্রকে ধরে মারধর করে গাড়িতে তুলছিল। এ ঘটনা দেখে খলিলুর রহমান ভিডিও ও ছবি ধারণ করার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় পেছন থেকে এক পুলিশ সদস্য এসে তার গলায় ঝোলানো থাকা আইডি কার্ড ও মোবাইল কেড়ে নেন। খলিলুর রহমান সাংবাদিক পরিচয় দিলেও সেই পুলিশ সদস্য কোনো কথা না শুনে তাকে গাড়িতে তোলেন। খলিলকে গাড়িতে তোলার সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি এনামুল হক রুপম। তিনি সাংবাদিক খলিলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তোপের মুখে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে সড়ে যান তারা।
লতিফ আরও জানিয়েছেন, খলিলকে মারধর করে গাড়িতে তোলার সময় চ্যানেল আই এর ক্যামেরাম্যান সেই দৃশ্যের ভিডিওচিত্র ধারণ করার জন্য এগিয়ে গেলে তাকেও বাধা দেয়া হয় এবং লাঞ্ছিত করা হয় । এরপর সাংবাদিক এনামুল হক রুপম পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে খলিলের মোবাইল ফোনটি ফিরিয়ে নেন।
ভুক্তভোগী খলিলুর রহমান জানান, সিটি কলেজ ও ধানমন্ডি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গন্ডগোলের সূত্র ধরে পুলিশ কিছু ছাত্রকে মারধর করে গাড়িতে তুলছিল। ছাত্রদের মারধর করে গাড়িতে তোলার দৃশ্য দেখে তিনি ছবি ও ভিডিও ধারণ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে বাধা দেন এবং এই অজুহাতে তাকে মারধর করেন। এরপর তারা আইডি কার্ড ও মোবাইল কেড়ে নেন।
ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম হোসেনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এমন ঘটনা এখনো শুনিনি। সেই এলাকার কোনো পুলিশ সদস্য আমাকে বিষয়টি অবগত করেনি।
এদিকে দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্র্যাব)।