স্টাফ রিপোর্টার- কক্সবাজারে একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে এক নারী ও তাঁর সাত মাস বয়সী মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের কলাতলী এলাকার ‘সী আলিফ’ হোটেলের ৪১১ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই ওই নারীর স্বামীকে চট্টগ্রাম শহর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম জেমিন বিশ্বাস (৪০)। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বৈলগ্রামের কুলন বিশ্বাসের ছেলে।
নিহত হয়েছেন জেমিন বিশ্বাসের স্ত্রী সুমা দে (৩৬) ও তাঁদের সাত মাস বয়সী মেয়ে। এদিকে মরদেহ দুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ পর্যন্ত তাদের কোনো স্বজন কক্সবাজার এসে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত জেমিনের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, জেমিন দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রীর প্রেশারের সমস্যা রয়েছে। এ কারণে তিনি স্ত্রী ও সাত মাস বয়সী মেয়েকে হোটেলরুমে রেখে বড় দুই মেয়েকে নিয়ে তিনি নাশতা করতে হোটেলের নিচে নামেন। নাশতা করে এসে দেখেন বাথরুমের বালতিতে শিশুকন্যার লাশ। আর এ ঘটনায় তিনি রাগের মাথায় স্ত্রী সুমাকে মারধর ও গলা টিপে হত্যা করেন। এরপর বড় (১৫) ও মেজো মেয়েকে (৭) নিয়ে তিনি হোটেল থেকে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম বলেন, ঘটনার পর দুই মেয়েকে বাড়িতে রেখে জেমিন চট্টগ্রাম শহরে পালিয়ে যান। গ্রেপ্তারের পরে তাঁকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার জেমিনকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে আনা হচ্ছে। পৌঁছার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ ঘটনার বিষয়ে শুক্রবার সী আলিফের ব্যবস্থাপক এস এম ইসমাইল বলেছিলেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে তিন সন্তান ও স্ত্রীসহ জেমিন বিশ্বাস ৪১১ নম্বর কক্ষে ওঠেন। গতকাল শুক্রবার জেমিন বিশ্বাসের স্ত্রী ও শিশু মেয়ের মরদেহ ওই কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি (জেমিন) ও তাঁর দুই মেয়ে পলাতক ছিলেন।