স্টাফ রিপোটার- বড় বোনের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন শিমু (ছদ্দনাম)। ঘুরতে বেরিয়ে বড় বোনের সঙ্গে রাত ৮টার দিকে মোহাম্মদপুরের টাউনহল এলাকায় যায়। কিন্তু সেখানে তার বড় বোনের সাথে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয় । বড় বোন রাগ করে শিশুটিকে ফেলে চলে যান।
শিশুটি একা একা হেঁটে মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের দিকে যাবার পথে আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটিকে দেখে সিএনজি চালক সেলিম। এসময় সে ও তার অপর সহযোগী শিশুকে ফুসলিয়ে সিএনজিতে তোলেন। এরপর তাকে জোর করে ঢাকা উদ্যানের একটি লেগুনাস্ট্যান্ডে নিয়ে যায় সেলিম।
জানা যায়, এসময় শিশুটি চিৎকার করলে তার মুখ চেপে ধরা হয়। এরপর প্রথমে সেলিমের সহযোগী ধর্ষণ করে শিশুটিকে। পরে ধর্ষণ করে সেলিম। এরপর সেই সহযোগী পুনরায় শিশুকে ধর্ষণ করেন। উপর্যুপরি ধর্ষণের ফলে গুরুতর অসুস্থ হয় ওই শিশু। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
বুধবার রাজধানীর শ্যামলীর নিজ কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক।
তিনি জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত সেলিমকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজধানীর বাড্ডা থানার খালপাড় হাজীপাড়া রোড এলাকার একটি গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তার সহযোগী এখনো পলাতক রয়েছে।
ডিসি আরও জানান, ধর্ষণের পর শিশুটিকে ছেড়ে দিলে সে হেঁটে হেঁটে শিয়া মসজিদ এলাকায় গেলে বড় বোনের সাথে তার দেখা হয়। এসময় বড় বোন তাকে দ্রুত শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যান। শিশুটির অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক । বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
ধর্ষণের ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি মামলা করেছেন।
ডিসি বলেন, মামলার পর ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে একটি সন্দেহজনক সিএনজি চিহ্নিত করা হয়।
এছাড়া ভুক্তভোগীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী ঢাকা উদ্যান, নবোদয় হাউজিং, শিয়া মসজিদ, তাজমহল রোড, ইকবাল রোড এলাকার ২৩টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে শনাক্ত করা হয় সিএনজির নম্বর। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শনাক্ত করা হয় সিএনজিচালকের অবস্থান। এরপর অভিযান চালিয়ে সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার জানান, সেলিমের সহযোগী পলাতক রয়েছেন। তার বিস্তারিত নাম-পরিচয় পেয়েছি। তাকে ধরতে অভিযান চলছে।
