Search
Close this search box.

সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে পুলিশের লাঠিচার্জ-মারধরের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত- হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার- প্রধান বিচারপতির অনুমতি ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও মারধরের ঘটনাকে অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি মো: খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো: ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে এবং দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সাথে ছিলেন আইনজীবী আবেদ রাজা, মো: আক্তারুজ্জামান, মোহাম্মদ কামাল হোসেন প্রমুখ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

আদেশের পর ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমাদের আবেদন আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়ে নিষ্পত্তি করেছেন। পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে পুলিশ প্রবেশ করে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। বিস্তারিত রায়ে এ বিষয়ে আদালত তার অভিমত স্পষ্ট করবেন।

ব্যারিস্টার খোকন আরো বলেন, পুলিশের অ্যাকশান নিয়ে লাঠিচার্জ ও মারধরের ঘটনা আমরা তদন্ত চেয়েছি। ফ্রেস নির্বাচনের দাবিতে আমাদের আইনজীবীদের আন্দোলন চলবে। পুলিশের লাঠিচার্জ ও মারধর করে আমাদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে একতরফা নির্বাচনের ঘটনারি বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। এর আগে গত ২১ মার্চ এ রিটের শুনানির জন্য ২৭ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত।

গত ১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্যপ্যানেলের ১৪ জন প্রার্থীর পক্ষে এ রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।

রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিবির উপ-কমিশনার ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিবাদী করা হয়েছে।

আবেদনে গত ১৫ মার্চ আবেদনকারীদের আইনজীবী ও সাংবাদিকদের পেটানোর ঘটনা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

এর আগে দুই দিনব্যাপী নির্বাচনের শেষ দিন গত ১৬ মার্চ দিনগত রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে ১৪টি পদের সবকটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল জয়ী হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ