স্টাফ রিপোর্টার- পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার ও সাংবাদিক ইলিয়াসসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেয় ধানমন্ডি থানার পুলিশ। ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম আলী মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চার্জশিটভুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- বাবুলের বাবা আবদুল ওয়াদুদ মিয়া, ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। আসামিদের মধ্যে বাবুল কারাগারে এবং তার বাবা ও ভাই জামিনে রয়েছেন। গ্রেফতার এড়াতে বিদেশে রয়েছেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন।
গত ১৯ এপ্রিল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম। অভিযোগপত্রে ইলিয়াস হোসেনকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্ফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়।
সম্প্রতি তদন্ত শেষে আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। বৃহস্পতিবার মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এদিন আদালতে এ চার্জশিট উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রের তথ্য বলছে, বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলা নিয়ে ইলিয়াস ফেসবুক ও ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। বাবুল, তার বাবা ও ভাইয়ের যোগসাজশে ইলিয়াস এ ধরনের তথ্য প্রচার করেন। এতে পিবিআই ও সংস্থাটির প্রধানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে খুন হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা। এ ঘটনায় ৬ জুন বাবুল বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন।
মাহমুদা হত্যার ঘটনায় ২০২১ সালের ১২ মে বাবুলকে গ্রেফতার করে পিবিআই। বাবুলের করা মামলায় তিনিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পিবিআই গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসীম উদ্দিনের আদালতে মাহমুদা হত্যা মামলার বিচার চলছে।