স্টাফ রিপোর্টার- ঢাকার আশুলিয়ায় ভাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বোন’কে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার বিকেলে র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক মো: মাজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এলাকার নরসিংহপুর এলাকা থেকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় “ ভাই’কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বোন’কে গণধর্ষণের ঘটনায় ৩ জন’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- রানা সরকার (৩২), মোঃ রবিউল শেখ ওরফে রবি (২৪), মোঃ রাব্বি (২৩)।
আসামীদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মাজহারুল ইসলাম জানান, ভিকটিম তার ছোট দুই ভাইকে নিয়ে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বসবাস করতো। গত ২৭ মে রাতে তার প্রতিবেশী আকবর ভিকটিমের বাসায় তার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য আসে। একই সময় গ্রেফতারকৃত আসামীরা ও অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আকবরের পিছনে পিছনে ভিকটিমের বাড়িতে আসে এবং সংঘবদ্ধ হয়ে আকবরকে বেপরোয়াভাবে এলোপাথারিভাবে মারধর করতে থাকে।
মারধরের ঘটনা দেখে ভিকটিম ও তার ছোট দুই ভাই বাহিরে আসলে আসামীরা তাদের উপর প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ভিকটিম তার দুই ভাইকে নিয়ে পুনরায় বাসার ভেতরে প্রবেশ করে।
পরবর্তীতে আসামীরাও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক ভিকটিমের বাসায় প্রবেশ করে এবং ভিকটিমের ভাইদের উপর্যুপুরী মারধর করে রুমের মধ্যে আটকে রাখে। পরবর্তীতে ভিকটিমের দুই ভাইয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ভিকটিমকে জোরপূর্বক তার শয়ন কক্ষে নিয়ে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
অতঃপর ভিকটিমের আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে, আসামীরা দরজায় তালা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। পাড়া প্রতিবেশীরা ভিকটিমের বাড়িতে এসে ভিকটিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে ভিকটিম র্যাবকে লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে র্যাব-৪ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা র্যাবের কাছে তাদের কৃত অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামী রানা মূলত উক্ত এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার এবং তার বিরুদ্ধে পাচটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও অন্য আসামীদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।