স্টাফ রিপোর্টার- র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, মাদক কারবারি যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। রোববার সকালে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে মাদক কারবারিদের হামলায় আহত র্যাব সদস্য (এস আই) উত্তম কুমার রায়কে দেখতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় র্যাব ডিজি বলেন, গত ৩০ মে মেহেরপুরের গাংনী থানা এলাকায় র্যাব-১২ এর মাদকবিরোধী অভিযানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমাদের র্যাব সদস্য উত্তম কুমার রায় আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে তিনজন আহত হয়।
তিনি বলেন, র্যাব সবসময় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ওই এলাকায় আমাদের মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। এখন সময় এসেছে মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসার। এই মাদকের ছোবল থেকে আমাদের সন্তানদের বাঁচাতে না পারলে আগামীতে চাকরি দেয়ার মতো কোনও লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। এরকম মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযানে গিয়ে আমাদের ৩৩ জন সহকর্মী জীবন দিয়েছেন ও এক হাজারের বেশি সহকর্মীর অঙ্গহানি হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, মাদকের সঙ্গে যিনিই জড়িত থাকুক, সে জনপ্রতিনিধি হোক বা অন্য কেউ হোক, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
আহত উত্তম কুমার রায়ের বিষয়ে খুরশীদ হোসেন বলেন, তিনি বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের আন্তরিক চিকিৎসায় বর্তমানে অনেকটা সুস্থ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হবে।
এর আগে তিনি আহত র্যাব সদস্য এসআই উত্তম রায়কে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের ১৪ তলার ১৪৪০ নাম্বার কেবিনে দেখতে যান। সেখানে র্যাব ডিজি নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ফলমূল তুলে দেন। পাশাপাশি তার চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা জাতীয় বান ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. রায়হানা আউয়াল, ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, র্যাব লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন, র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিনসহ র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
