Search
Close this search box.

কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন অধ্যাপক জাকির হোসেন

কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. জাকির হোসেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোছা. রোখছানা বেগম সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। মঙ্গলবার তাকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের (আচার্য) অনুমোদনক্রমে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২১ এর ধারা ১০ (১) অনুযায়ী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. জাকির হোসেনকে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (উপাচার্য) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

আগামী চার বছর তিনি এ পদে থাকবেন। তবে রাষ্ট্রপতি চাইলে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মাে. মকবুল হােসেন ও জামিলা খানমের ছেলে জাকির হোসেন ১৯৬৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার অন্তর্গত উত্তর বাউচান্দি পাকের মাথা গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

অধ্যাপক ড.এ.কে.এম. জাকির হােসেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি জাপানের গিফু ইউনির্ভাসিটি থেকে প্লান্ট ফিজিওলজি অ্যান্ড বায়ােকেমিষ্ট্রি বিষয়ে পিএইচডি এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর এগ্রিকালচারাল সায়েন্স থেকে পোস্ট ডক্টরাল সম্পন্ন করেন।

তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে ১৯৯৭ সালে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। পরবর্তীতে ২০০০ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০০৫ সালে সহযােগী অধ্যাপক এবং ২০১০ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।

এ বিষয়ে অধ্যাপক জাকির বলেন, রাষ্টপতি এবং প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন আমি তা সঠিক ভাবে পালন করার চেষ্টা করব। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বিশ্বমানের করতে আমি চেষ্টা করে যাব। উত্তরের কৃষিকে উন্নত করতে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করি। উত্তরের কৃষি এবং কৃষক যেন এই বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা উপকৃত হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ