স্টাফ রিপোর্টার- ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেননি ৭৮ হাজার ৮০৩ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ২২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এ সংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশ না নেওয়ায় প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করছে পিএসসি। যদিও নির্ধারিত ফি দিয়ে আবেদন করেছেন পরীক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৯ মে) দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পিএসসি বলছে, আবেদন করা শিক্ষার্থীদের অনুপাতে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, হাজিরা শিটসহ আনুষঙ্গিক সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
শনিবার (২০ মে) দুপুরে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, এবারের ৪৫তম বিসিএসে অংশ নিতে আবেদন করছিলেন তিন লাখ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে দুই লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন অংশগ্রহণ করেছে। এতে ৭৮ হাজার ৮০৩ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেননি। পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৭৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। অনুপস্থিত ছিলেন ২২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এতে পিএসসির প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে বলে জানান তিনি।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এবার বিসিএসের আবেদন ফি ছিল ৭০০ টাকা। সে হিসাবে ৭৮ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় তাদের ৫ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার ১০০ টাকা কোনো কাজে লাগেনি। তবে এর মধ্যে কোটাধারী কিছু প্রার্থী থাকায় টাকার এ অংক কিছুটা কমতে পারে। কোটার প্রার্থীদের ফি ছিল ১০০ টাকা।
শুক্রবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে শুক্রবার একযোগে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেন প্রার্থীরা।
৪৫তম বিসিএসে দুই হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। আর নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জন। এবারই প্রথম ক্যাডারের পাশাপাশি নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। ক্যাডারের বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জন নিয়োগ পাবেন।
আর শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এছাড়া পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪, প্রশাসনে ২৭৪ জন ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হবে। নন-ক্যাডারের পছন্দের তালিকা দেওয়া হয়েছে। এর প্রায় অর্ধেক পদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের জন্য। ৪৫৭ জনকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।