বলিউড তারকা সালমান খান ও ঐশ্বরিয়া রাইয়ের প্রেম একসময় বলিউডের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর একটি ছিল। ১৯৯৯ সালে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির শুটিং চলাকালীন তাদের প্রথম দেখা হয় এবং ধীরে ধীরে কাছাকাছি আসেন তারা। পর্দার রসায়ন বাস্তব জীবনেও গড়ায় প্রেমে।
শুরুতে তাদের সম্পর্ক ছিল রোমাঞ্চকর ও গণমাধ্যমের নজরকাড়া। একসাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, পার্টি ও শুটিংয়ে দেখা যেত তাদের। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে জটিলতা বাড়তে থাকে। সালমানের রাগ, জেদ, অতিরিক্ত অধিকার দেখানো এবং আচরণগত সমস্যা ঐশ্বরিয়ার কাছে সহ্যসীমা ছাড়িয়ে যায়।
২০০২ সালে সম্পর্কটি ভেঙে যায়। পরে ঐশ্বরিয়া ২০০৭ সালে অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করেন এবং সংসার শুরু করেন। তবে এখনও সালমান নাকি ঐশ্বরিয়াকে ভুলতে পারেননি—এমনটাই মনে করেন তার অনুরাগীরা। সালমানের জীবনে বহু নারীর নাম জড়ালেও ঐশ্বরিয়ার জায়গা আলাদা।
সম্পর্ক ভাঙার মূল কারণ নিয়ে বহু বছর ধরে নানা গুঞ্জন ছিল। কেউ বলেছে সালমান অত্যধিক খবরদারি করতেন, কেউ আবার বলেছে এমন পর্যায় এসেছিল যে ঐশ্বরিয়াকে আইনি পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল।
সম্প্রতি সালমানের ভাই সোহেল খান জানালেন, আসল সমস্যা ছিল সম্পর্কের স্বীকৃতি নিয়ে। ঐশ্বরিয়া সম্পর্কটি গোপন রাখতে চাইতেন, আর সালমান চাইতেন সবার সামনে তা প্রকাশ করতে। এই মতভেদ থেকেই সালমান নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন। সোহেলের মতে, ঐশ্বরিয়া কখনোই সিরিয়াস কমিটমেন্টে যেতে চাননি, আর এটাই ছিল তাদের বিচ্ছেদের মূল কারণ।