সব্যসাচী দাশ ॥ শিল্পী সমিতির নির্বাচন হয় গত ২৮ জানুয়ারি। কিন্তু এখনও সুরাহা হয়নি সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ, আপিল পাল্টা আপিল এসব আইনি চক্করে আটকে আছে এই পদের সঠিক দাবিদারের।
এরমধ্যে সম্প্রতি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মাসিক সাধারণ সভায় শিল্পীদের পরিচয়পত্র হস্তান্তর করা হয়। চলচ্চিত্র সমিতির অফিস থেকে পরিচয়পত্রগুলো সংগ্রহ করেন শিল্পীরা। বিতরণ করা এসব পরিচয়পত্রে সভাপতি হিসেবে ইলিয়াস কাঞ্চনের নাম ও স্বাক্ষর রয়েছে। তার পাশেই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিপুণ আক্তারের নাম ও স্বাক্ষর থাকায় প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, সাধারণ সম্পাদক পদটি এখনো কোর্টের রায়ে স্থিতিশীল রয়েছে।
কোন নিয়ম মেনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিপুণের নাম রয়েছে, এমনকি কেন তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কার্ড বিতরণ করছেন? তার এই কাজটি যে ঠিক হয়নি তা স্বীকার করেছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এক নেতা। নাম না প্রকাশের স্বত্বে তিনি বলেন, ‘আইনগতভাবে নিপুণের সেখানে থাকার কথা নয়। থাকলেও কার্ড বিতরণ করতে পারেন না। বর্তমানে তিনি যে মিটিং করেছেন, সেখানেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবেই থেকেছেন। তাঁর বক্তব্যও ছিল তেমন। অথচ আদালতের সর্বশেষ রায়ে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এই দায়িত্ব পালন করার কথা এজিএসের।’ প্রসঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জায়েদ খান বলেন, ‘অবৈধভাবে নিপুণ আবার কার্যক্রম শুরু করেছেন। তিনি মিটিংয়ে অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু আমাদের মামলার এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন না নিপুণ। আইন মানা একজন শিল্পীর নৈতিক দায়িত্ব।
এবার আইনকে তোয়াক্কা না করে চরম অন্যায় করেছেন নিপুণ। আর এই অন্যায়কে সমর্থন করছেন ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেব। তিনি নিজেও জানেন পদটি স্থিতিশীল থাকবে। শুধু তা–ই নয়, এর আগে তারা যে মিটিং করেছেন, সেখানে আমাদের কাউকে কিছু জানানো হয়নি। যাঁরা নতুন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, তাঁদের কার্ড দেওয়া হয়েছে, সেটা নিয়েও মামলা চলমান। এভাবে শিল্পীদের অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না।