সব্যসাচী দাশ ॥ লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার বিদ্যা সিনহা মীমের অভিষেক হয়েছিল ২০০৮ সালে নন্দিক কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ সিনেমার মাধ্যমে। গত ১৪ বছরে দেড় ডজন ছবিতে অভিনয় করলেও গত ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘পরাণ’ দিয়ে বলা যায় ক্যারিয়ারের ‘দ্বিতীয় ইনিংস’-এ প্রবেশ করলেন এ অভিনেত্রী। অথচ মুক্তির আগে ‘পরাণ’ নিয়ে বড় কোনো প্রত্যাশাই ছিল না তাঁর। ‘পরাণ’ ছবির শুটিং শেষ হয় আজ থেকে তিন বছর আগে। শুটিং শেষে শুরু হয় করোনা মহামারি। আরও নানা কারণে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছিল না। ভীষণ মন খারাপ হয় ছবির নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমের। অবশেষে গত পবিত্র ঈদুল আজহায় মুক্তি পায় ছবিটি। তবে মুক্তি পাওয়া তিন ছবির মধ্যে ‘পরাণ’ মুক্তি পায় সবচেয়ে কম, ১১টি প্রেক্ষাগৃহে। এত দিন পর মুক্তি, তাও এত কম হলে সব মিলিয়ে ছবিটি নিয়ে বড় প্রত্যাশা ছিল না তাঁর। কিন্তু মুক্তির দ্বিতীয় দিন থেকেই ধারণা পাল্টে যেতে থাকে। মাল্টিপ্লেক্সে বাড়তে থাকে প্রদর্শনী সংখ্যা। দর্শক আগ্রহে একপর্যায়ে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ দুটি থেকে প্রদর্শনী বাড়িয়ে ২১-এ নিয়ে যায়। ঢাকার পাশাপাশি ঢাকার বাইরেও বাড়তে থাকে প্রেক্ষগৃহের সংখ্যা। চতুর্থ সপ্তাহে এসে হলসংখ্যা ১১ থেকে দাঁড়ায় ৬০-এ। পঞ্চম সপ্তাহে এসেও ৫০টি হলে চলছে ছবিটি।
অনন্যা চরিত্রে অভিনয় করে এত প্রশংসা কেমন উপভোগ করছেন মিম? উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী বলেন, ‘এখন খুব ভালো লাগছে। সব শ্রেণির মানুষ ছবিটি দেখছেন। মুক্তির ২৭তম দিনে এসেও হাউসফুল যাচ্ছে। যাঁরা কখনোই হলে সিনেমা দেখতে আসেননি, তাঁরাও ছবিটি দেখছেন। পুরোনা দর্শকের পাশাপাশি নতুনেরাও দেখতে আসছেন। কেউ কেউ আমাকে বলেছেন, তাঁরা দু-তিনবার ছবিটি দেখেছেন। বড় ব্যাপার হলো, অনেকে পরিবার নিয়ে সিনেমাটি দেখছেন। অনেক বছর পর প্রেক্ষাগৃহ গুলোয় বাংলা সিনেমা নিয়ে এমন ঘটনা ঘটল। এটা তো আমার জন্য অসম্ভব ভালো লাগার।’
‘পরাণ’-এর সাফল্যে নতুন নতুন কাজের প্রস্তাব আসছে মিমের কাছে। তিনি জানান, ‘গত কয়েক দিনে তিনটি চিত্রনাট্য পেয়েছি। তবে বুঝেশুনে কাজ করতে হবে। গল্প শুনে, চরিত্র বুঝে পরের ছবি করতে হবে। দর্শকের বিশ্বাস হারাতে চাই না। আসলে পরাণ ছবির আকাশচুম্বী সাফল্য মধ্য দিয়ে মীমের দ্বিতীয় বার জন্ম হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।