বিনোদন ডেস্ক ॥ ‘জীবন পুষ্পশয্যা নয়’ বিষয়টা সত্যিই তাই। বলিউড তারকা অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোণ কে দেখে কি কল্পনা করা যায় যে, এই মানুষটিও এক সময় নিজেকে হত্যা করতে চাইতেন। হ্যাঁ চাইতেন! এটা মনুষ্যজীবন। বেচেঁ থাকার নিরন্তর চেষ্টাই হলো এর যর্থাথ সংজ্ঞা। চলার পথে অনেকেই থেমে যেতে চান দীপিকাও চেয়েছিলেন।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নিজের অবসাদের গল্প শেয়ার করেছেন দীপিকা। অবসাদে ভুগে ভুগে একবার আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন তিনি। তবে তার মা প্রথম বুঝতে পারেন যে, অবসাদে ভুগছেন দীপিকা।
আরও বলেন, ‘আমি তখন ক্যারিয়ারের শীর্ষে ছিলাম। আমার জীবনে সব ঠিকঠাকই ছিল। তাই আমার মন খারাপের কোনো বিশেষ কারণ ছিল না। কিন্তু আমার মন ভালো ছিল না। সেই সব দিনে আমি শুধু ঘুমাতে চাই। কারণ ঘুমই ছিল আমার পালানোর একমাত্র উপায়। আমি তখন আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠেছিলাম। আমার বাবা-মা বেঙ্গালুরুতে থাকতেন, মাঝে মাঝে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। আমি তখন ওদের দেখাতাম যে আমি খুব ভালো আছি। একদিন ওরা বেঙ্গালুরু ফেরত যাচ্ছিল আর তখনই আমি কান্নায় ভেঙে পড়ি। মা আমাকে জিজ্ঞেস করে- কেন কাঁদছি? কোনো বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা? কাজের ক্ষেত্রে কিছু ঘটেছে কিনা? আমার কাছে কোনো উত্তর ছিল না।
এই বলিউড তারকা বলেন, ‘আমার কাছে উত্তর ছিল না কারণ সেরকম কোনো বিষয় ছিল না। মা সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পারে যে, আমি অবসাদে ভুগছি। আমার জন্যই মাকে ভগবান পাঠিয়েছিল বলে আমার ধারণা।’ সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়াতেই বারবার নিজের জীবনের অবসাদের গল্প তুলে ধরেন দীপিকা। অবসাদে ভুগেছেন অনেকেই কিন্তু দীপিকার মতো সাহসের সঙ্গে তা তুলে ধরতে পারেন না জনসমক্ষে। অবসাদ থেকে বেরিয়ে এসে তিনি যেভাবে নিজেকে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তা সত্যিই অনুপ্রেরণা জোগায় অনেককেই। প্রঙ্গত, সম্প্রতি ‘পাঠান’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন দীপিকা। এটি আগামী বছর মুক্তি পেতে চলেছে। এতে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের সঙ্গে দেখা যাবে তাকে।