বিনোদন ডেস্ক: অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি, গেল তিন বছর ধরে অভিনয় থেকে রাজনীতির মাঠে বেশ সরব তিনি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে সক্রিয় কর্মী হিসেবে নিজেকে দাবি করে এসেছেন। করেছেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনও। প্রায়ই সময় রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ প্রচার করতে দেখা গেছে এই অভিনেত্রীকে।
দীর্ঘ এক যুগের ক্যারিয়ারে প্রায় ৪০ টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। হাতে গোনা কয়েকটি ছাড়া, তেমন আলোচনায় নেই এই নায়িকার কোনো কাজ। তবে বিয়ে, বিচ্ছেদ আর প্রেম করতে বেশ পটু তিনি। ২০১৫ সালের ১৫ মে মাহি বিয়ে করেন শাহরিয়ার ইসলাম শাওন নামের এক ছেলেকে। শাওনের সঙ্গে বিচ্ছেদের এক বছর পর ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন এই নায়িকা। পাঁচ বছর ভালোই যাচ্ছিলো তাদের সংসার। হঠাৎ-ই হয় ছন্দ পতন, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন তিনি।
মিডিয়ায় চর্চিত আছে, অপুর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকাকালীনই রাকিব সরকারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান মাহি। আর এর প্রধান কারণ ছিলো রাজনীতিতে নিজের অবস্থান দৃঢ় করার। তার প্রমাণও মানুষ পেয়েছে হাতেনাতে। রকিব সরকারকে রাজনীতির মাঠে উৎসাহ দিতে বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে ছিলেন তিনি।
স্বামীর হাত ধরেই রাজনীতির মাঠে পা রেখেছেন মাহি। নিজ এলাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন তোলেন এই নায়িকা। কিন্তু মনোনয়ন পাননি। এরপর গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে রাজশাহী-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের ফরম তুলেছিলেন তিনি। তবে সেখানে মনোনয়ন না পেয়ে রাজশাহী-১ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু, ওই আসনেও বিপুল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন মাহি। আর তারপরই রাকির সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়।
রাজনীতির ময়দানে খুব একটা সুবিধা করতে না পেরে ২০২৪এর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ছিলো মাহির। পরবর্তীতে সেখানেও ঠায় হয়নি এই নায়িকার। অভিনয় ও রাজনীতি দুই কুলই হারিয়ে দিক বিদিক ছুটতে থাকে তিনি। এই বছরের ২৭ মে অনলাইন জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আর তা নিয়ে দর্শকদের তাচ্ছিল্যের শিকার হয়েছেন তিনি।
টালমাটাল এই ক্যারিয়ারে দিন দিন যেন বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছিলেন মাহি। তার প্রমাণ মিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে। বেশ কয়েক বছর আগে ডা.মুরাদ হাসানের সঙ্গে একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছিল। আর তাতেই বুঝা যায় মাহির সঙ্গে কি সম্পর্ক মুরাদের।
এ ছাড়া রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দাপট খাটিয়ে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। আবার বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফেরত না দেওয়া, পরিচালকদের শিডিউল দিয়ে কাজ না করা, তাদের মারধরসহ, এমন অনেক অভিযোগে অভিযুক্ত এই মাহিয়া মাহি।