সারাদেশে চলছে কাঠফাটা গরম। দাবদাহের এসময় তীব্র তাপে বাইরে বের হলে তা ত্বকে প্রভাব ফেলে। মাঝেমধ্যে এক পশলা বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি দিলেও কিছু সময়ের মধ্যেই আবার শুরু হয় গরমের তীব্রতা। এমন পরিস্থিতিতে অসুস্থ হয়ে পড়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো পানিশূন্যতা। আমরা যদিও মনে করি পানি কম পান করার ফলে এমনটা হয়ে থাকে। তবে কিছু খাবার যেগুলো মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্য বা অতিরিক্ত লবণের কারণে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
তাই গরমের সময়ে খাবারের তালিকায় কিছু যোগ-বিয়োগ করতে হবে। তাহলেই সুস্থ থাকা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো গরমে আপনার শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করতে পারে-
উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার, যেমন লাল মাংস, হাঁস-মুরগি এবং দুগ্ধজাত পণ্য ইত্যাদি ডিহাইড্রেশনে অবদান রাখতে পারে। আপনি যখন প্রোটিন গ্রহণ করেন, তখন আপনার শরীর অতিরিক্ত ইউরিয়া তৈরি করে। এটি একটি বর্জ্য পদার্থ যা প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দিতে হয়, এর ফলে পানির ক্ষয় বৃদ্ধি পায়।
ভাজা খাবার
ভাজা খাবারে লবণ এবং চর্বি বেশি থাকে, যা আপনাকে ডিহাইড্রেট করতে পারে। উচ্চ চর্বিযুক্ত উপাদান হজমকেও ধীর করে দিতে পারে। ভাজা খাবার খাওয়া সীমিত করুন এবং শাকসবজির মতো পানি-সমৃদ্ধ খাবার বেশি খান।
লবণাক্ত স্ন্যাকস
চিপস, প্রিটজেল এবং ক্র্যাকারের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারে সোডিয়াম বেশি থাকে। অত্যধিক লবণ গ্রহণ করলে তা আপনাকে তৃষ্ণার্ত করে তুলতে পারে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে পানির ক্ষয় বৃদ্ধি করতে পারে। লবণাক্ত নাস্তা খাওয়ার বিষয়ে সচেতন হোন এবং পানি-সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখুন।
ঝাল খাবার
মসলাদার খাবার আপনার বিপাককে উদ্দীপিত করতে পারে এবং শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে, যার ফলে ঘাম হতে পারে, যা আপনাকে ডিহাইড্রেট করে। মসলাদার খাবার উপভোগ করার সময় হাইড্রেটেড থাকার জন্য প্রচুর পানি পান করতে ভুলবেন না।
ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়
কফি, চা এবং কিছু কোমল পানীয়তে ক্যাফেইন থাকে, যা হালকা মূত্রবর্ধক। যদিও সকালে এককাপ কফি বা চা উপভোগ করা ভালো, তবে অত্যধিক পান করার ফলে প্রস্রাব বাড়তে পারে। পর্যাপ্ত পানি পানের সঙ্গে ভারসাম্য না থাকলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
চিনিযুক্ত খাবার
কেক, কুকিজ এবং ক্যান্ডির মতো চিনিযুক্ত খাবারও আপনাকে ডিহাইড্রেট করতে পারে। আপনি যখন প্রচুর পরিমাণে চিনি গ্রহণ করেন, তখন আপনার শরীর এটিকে পাতলা করতে পানি ব্যবহার করে, যা ডিহাইড্রেশনের দিকে নিয়ে যায়। তাই হাইড্রেটেড থাকার জন্য তাজা ফল বেছে নিন।
অ্যালকোহল
অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এর মূত্রবর্ধক প্রভাবের কারণে আপনাকে ডিহাইড্রেট করতে পারে। এগুলো প্রস্রাব উৎপাদন বৃদ্ধি করে। যার ফলে শরীরের তরল কমে যায়। তাই অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকাই সবচেয়ে ভালো।