পথে প্রান্তরে ডেস্ক: মিশরের উচ্চবংশীয় নারী লেডি শেনেট-আ’র মমি। যা বর্তমানে শিকাগোর ফিল্ড মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রয়েছে। সম্প্রতি একটি সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে তার মৃত্যুর পদ্ধতি ও মমির সঙ্গেই থাকা বিভিন্ন রহস্য উদঘাটন করেছেন বিজ্ঞানীরা।
আনুমানিক তিন হাজার বছর আগে মিশরে বাস করা এই নারীর মমি এবং কফিনের গঠন নিয়ে বিজ্ঞানীরা নতুন তথ্য পেয়েছেন।
শেনেট-আ’র বয়স ছিল ৩৫ থেকে ৪৫ বছর। তার মৃত্যুর সময় বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। যেমন তার শ্বাসনালীতে কিছু বস্তু রাখা হয়েছিল যাতে তার ঘাড় ভেঙে না পড়ে এবং তার চোখের জায়গায় কৃত্রিম চোখ স্থাপন করা হয়েছিল। সূত্র: সিএনএন
তবে বিজ্ঞানীদের কাছে সবচেয়ে বড় রহস্য হয়ে ছিল যে, লাশটিকে কীভাবে কফিনের ভেতর ঢোকানো হয়েছে। কারণ এতদিন কফিনের কোনো মুখ খুঁজে পাননি তারা। শুধু কফিনের পায়ের দিকে সামান্য একটু ফাঁকা ছিল, তবে সেটা দিয়ে লাশ কফিনে ঢোকানো মোটেই সম্ভব ছিল না।
এছাড়া, কফিনের ভেতরে মমি ঢোকানোর রহস্যও এবার উন্মোচিত হয়েছে। সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে, মমিটি কফিনে ঢোকানোর জন্য কফিনের পেছনের দিকটি কেটে ফেলা হয়েছিল এবং তারপর সেটি সেলাই এবং প্লাস্টার দিয়ে সিল করা হয়েছিল। সেলাইয়ের ওপর দিয়ে এমনভাবে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়, যেন সেলাইয়ের বিষয়টি একেবারেই বুঝা না যায়।
বিজ্ঞানীরা মমিটিকে কফিনে ঢোকানোর পুরো প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন। তারা বলেন, মমি এবং কফিনটিকে প্রথমে দাঁড় করানো হয়। পরে আর্দ্রতার মাধ্যমে কফিনটিকে নরম করা হয়, যেন মমিটিকে সহজে কফিনে প্রবেশ করানো যায়।কফিনের পেছনের দিকটি সোজাসুজি কেটে মমিটিকে ভেতরে প্রবেশ করানো হয়। এরপর কফিনের সে অংশটিকে সেলাই এবং পরবর্তীতে প্লাস্টার করে মমিটি সংরক্ষণ করা হয়।